বুধবার সন্ধ্যায় বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। আর ঘটনার পর দিন তিনজন বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করল ঘাটাল থানার পুলিশ। ধৃতদের বৃহস্পতিবার ঘাটাল আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ওই দিনের ঘটনায় জখম দু’পক্ষেরই এখনও চারজন ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষই মামলা করেছে। সবাইকে ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার ঘাটাল থানার মহারাজপুর সংলগ্ন নারায়ণপুরে বিজেপির কার্যালয় উদ্বোধনের পর পতাকা তোলার কর্মসূচি ছিল। বিজেপির অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের লোকেরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপির ঘাটাল মণ্ডল কমিটির সভাপতি স্বরূপ সামুই বলেন, “প্রথমে আমাদের সমর্থকদের মারধর করে শাসকদলের লোকেরা। অথচ পুলিশ গ্রেফতার করল আমাদের দলের লোকেদের। তৃণমূলের কেউ গ্রেফতার হয়নি।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার পুলিশ তিন বিজেপি সমর্থককে আটক করার পরই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বাসিন্দারা। স্থানীয় সড়কে কাঠের গুঁড়ি দিয়ে রাস্তা অবরোধও করা হয়। পরে মেদিনীপুর থেকে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(খড়্গপুর) অভিষেক গুপ্ত পুলিশ নিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। রাতেই বিজেপির ১২ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। আর ২১ জনের নামে খুনের চেষ্টা সহ নানা অভিযোগে পাল্টা মামলা করে বিজেপিও। বিজেপি নেতা রামকুমার দে বলেন, “দু’দিনের মধ্যে পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার না করলে বড় আন্দোলনে নামা হবে। প্রয়োজনে থানা ঘেরাও করা হবে।” ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দোলই বলেন, “আমরা পুলিশকে নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করার আর্জি জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। ”