দলিল লেখার কাজে লাইসেন্স প্রাপ্ত দলিল লেখক ছাড়া অন্য কারও লেখা দলিল রেজিস্ট্রি করা চলবে না- এই দাবিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়ার কথা জানাল পশ্চিমবঙ্গ দলিল লেখক সমিতির রাজ্য নেতৃত্ব। রবিবার তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতি সৌধে আয়োজিত পশ্চিমবঙ্গ দলিল লেখক সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কনভেনশনে ভাষণ দিতে গিয়ে সমিতির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তপন তেওয়ারি বলেন, “১৯৯৭ সালে রাজ্য সরকার ল-ক্লার্ক রুলস আইন প্রণয়ন করেছিল। ওই আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রি অফিসে আইনজবীদের সহায়ক হিসেবে মুহুরিদের যাওয়া, আইনজীবীর মুসাবিদা ক্রমে মুহুরিদের লেখা দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রি করা যাবে। কিন্তু সেই সময়ই আমরা ওই আইনের বিরোধিতা করে আন্দোলন করেছিলাম।” তাঁর অভিযোগ, “দলিল লেখার কাজে যাতে অন্য কোনও পেশার ব্যক্তিরা যুক্ত হতে না পারেন, সেজন্য রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম। আমাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০০৬ সালে তত্কালীন রাজ্য সরকার ১৯৯৭ সালের প্রণীত আইন সংশোধন করে ১৯ নম্বর ধারা চালু করে। ওই সংশোধিত ১৯ নম্বর ধারা অনুযায়ী মুহুরিদের লেখা দলিল রেজিস্ট্রি করা যাবে না। কিন্তু ওই সংশোধিত আইন না মেনে রাজ্যের রেজিস্ট্রি অফিসগুলিতে এখনও মুহুরিদের লেখা, এমনকি দালালদের লেখা দলিলও রেজিস্ট্রি করা হচ্ছে।”
তপনবাবুর বক্তব্য, “যেহেতু রাজ্য সরকারের লাইসেন্সপ্রাপ্ত দলিল লেখকরা অন্য কোনও লাভজনক পেশার সঙ্গে যুক্ত নয়। তাই যাতে অন্য পেশার সাথে যুক্ত লোকজনের লেখা দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ করা হয়, সেজন্য রাজ্য সরকারের কাছে সমিতির তরফে দাবি জানানো হয়েছিল। সুরাহা হয়নি।” তাঁর অভিযোগ, “প্রাথমিকভাবে আমরা দীর্ঘমেয়াদি রিলে অনশন কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী মাসে কলকাতায় এই কর্মসূচি পালন করা হবে।” উপস্থিত ছিলেন সমিতির রাজ্য সভাপতি সমরেন্দ্র দাসঅধিকারী, রাজ্য কোষাধ্যক্ষ রূপচাঁদ বেরা, রাজ্য কমিটির সদস্য দ্বিজেন চৌধুরী-সহ সংগঠনের জেলা নেতৃত্ব বক্তব্য।