মেদিনীপুর মেডিক্যালে মহিলা সমিতির নেত্রীরা। —নিজস্ব চিত্র।
প্রহৃত দলীয় নেত্রীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে সোমবার মেদিনীপুরে আসেন সিপিএমের মহিলা সংগঠন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির সভানেত্রী তথা রাজ্য মহিলা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন মালিনী ভট্টাচার্য। মেদিনীপুর মেডিক্যালে গিয়ে তিনি ওই মহিলার পরিজনদের সঙ্গেও কথা বলেন। মালিনীদেবী বলেন, “ঘটনাটি ভয়ঙ্কর। আদিবাসী নেত্রীকে রাস্তায় আক্রমণ করা হয়েছে। পুলিশ এফআইআর করছে না। এটা গুরুতর ব্যাপার। জেলা পুলিশ যদি সক্রিয় না হয় আমরা রাজ্য পুলিশকে বিষয়টি জানাব।”
মহিলা নিগ্রহের ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবারের। অভিযোগ, ওই দিন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের লোকেদের হাতে প্রহৃত হন কেশিয়াড়ির কালামেটিয়া এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বছর চল্লিশের গুরুবারি মুর্মু। তিনি গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কেশিয়াড়ি জোনাল কমিটির সহ-সভানেত্রীও। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই মহিলাকে ভর্তি করানো হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে। প্রহৃত নেত্রীর ভাই রমেশ মুর্মু কেশিয়াড়ি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। উল্টে পুলিশ তাঁকে ডাকাতির মামলায় নাম জড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায় বলে অভিযোগ।
এ দিন মেদিনীপুর মেডিক্যালে এসে গুরুবারিদেবীর পাশে থাকার আশ্বাস দেন মালিনীদেবী। তিনি বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন এলাকাতেই এ ভাবে মহিলাদের উপর আক্রমণ- নির্যাতন চলছে। রাজ্য সরকারেরও মদত আছে। না হলে তৃণমূলের এক সাংসদ (তাপস পাল) এমন কথা বলে ছাড় পেয়ে যান কী ভাবে?” এ দিন মালিনীদেবীর সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ পুলিনবিহারী বাস্কে, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির জেলা সভানেত্রী আভা চক্রবর্তী, জেলা নেত্রী রেখা পাল, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির কেশিয়াড়ি জোনাল কমিটির সভানেত্রী অনুরাধা গিরি প্রমুখ।