মেদিনীপুরে সিপিএমের মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।
পাঁচখুরির ঘটনায় প্রহৃত সিপিএম নেতাদের নামেও মামলা হল। পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় এক মহিলার অভিযোগের প্রেক্ষিতেই মামলা রুজু হয়েছে। সিপিএমের অবশ্য দাবি, এটি মিথ্যা মামলা। পুরো অভিযোগই সাজানো।
বৈঠক সেরে ফেরার পথে সোমবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর সদর ব্লকের অন্তর্গত পাঁচখুরি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কমলাপুরে প্রহৃত হন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বিজয় পাল, দলের মেদিনীপুর সদর (পূর্ব) জোনাল সম্পাদক আব্বাস আলিরা। ওই এলাকা খড়্গপুর গ্রামীণ বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত। সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, খড়্গপুর গ্রামীণের বিধায়ক সিপিএমের নাজমুল হকের বিধায়ক তহবিলের টাকায় কমলাপুরে একটি নলকূপ হওয়ার কথা। নলকূপটি কোথায় হলে এলাকার মানুষের সুবিধে হবে, সেই নিয়ে আলোচনা করতেই বিজয়বাবুরা ওই দিন ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। বৈঠক সেরে ফেরার পথে বিজয়বাবুদের উপর হামলা হয়। একদল তৃণমূলের লোক বিজয়বাবুদের ঘিরে মারধর শুরু করে। পরে প্রহৃত সিপিএম নেতারা মেদিনীপুরে এসে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাও করান। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, এটা স্থানীয় ব্যাপার। ঘটনার সঙ্গে দলের কেউ যুক্ত নন।
জানা গিয়েছে, ওই দিন সন্ধ্যাতেই এক মহিলা বিজয়বাবুদের নামে মেদিনীপুর কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ওই মহিলা এলাকায় তৃণমূলের সমর্থক বলেই পরিচিত। মহিলার দাবি, সিপিএম নেতারাই তাঁদের উপর চড়াও হন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ মামলাও রুজু করেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রহৃত সিপিএম নেতারা ডাকযোগে পুলিশের কাছে অভিযোগপত্র পাঠিয়েছেন। মঙ্গলবার বিজয় পাল বলেন, “আমাদের নামে মিথ্যা মামলা হয়েছে বলে শুনেছি। আসলে তৃণমূল ভয় পাচ্ছে। ভয় পাচ্ছে বলেই এ ভাবে হামলা-মিথ্যা মামলা করছে। তবে পারবে না। মানুষ জাগছে।” তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “শুনেছি, সিপিএম নেতারা এলাকার মহিলাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। একজন পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। পাঁচখুরির ঘটনায় দলের কেউ যুক্ত নন।” দলীয় নেতাদের উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার মেদিনীপুর শহরে মিছিল করে সিপিএম। দলের শহর জোনাল অফিসের সামনে থেকে ওই মিছিল বেরোয়। পরে তা শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। দলীয় নেতাদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ধরার দাবিও তোলা হয় মিছিল থেকে। পাশাপাশি নেতাদের নামে যে মিথ্যা মামলা হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানানো হয়।