চলছে সভা। নিজস্ব চিত্র।
মন্ত্রী জেলে। জনা কয়েক সাংসদ জেলে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল সরকারের আর ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই বলে দাবি করলেন সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত।
রবিবার থেকে মেদিনীপুর শহরে শুরু হয়েছে সিপিআইয়ের ২৩ তম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলন। সম্মেলন উপলক্ষে শহরের বিদ্যাসাগর হলের মাঠে প্রকাশ্য সমাবেশ হয়। সমাবেশ মঞ্চ থেকে গুরুদাস দাশগুপ্ত তোপ দাগেন, “রাজ্য সরকারের অবস্থা বেহাল। মাত্র সাড়ে তিন বছর হল। এত অল্প দিনের মধ্যে এত নগ্ন হয়ে যাবে ভাবিনি। মন্ত্রী জেলে, সাংসদেরা জেলে, ভাবা যায়? সারদার কাছ থেকে টাকা নিয়েই এঁরা নির্বাচনে জিতেছেন। এক কোটি করে টাকা প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। সাড়ে তিন বছর আগে যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনে জেতার জন্য প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে চল্লিশ লক্ষ করে পাঠানো হয়েছিল। তা তৃণমূল অফিস থেকে পাঠানো হয়েছে। কারা পাঠিয়েছেন? মমতা-মুকুল এঁরাই।” শ্রমিক নেতা গুরুদাসবাবুর কথায়, “এই সরকার দেশের কলঙ্ক।”
এ দিনের সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ছিলেন দলের জেলা সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক সন্তোষ রাণা, প্রাক্তন সাংসদ প্রবোধ পণ্ডা প্রমুখ। সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি, তৃণমূল দু’দলেরই কড়া সমালোচনা করেন গুরুদাসবাবু। তিনি বলেন, “দেশ কৃষি নির্ভর। অথচ, কৃষিকে বাঁচানোর চেষ্টা নেই। দেশের ৭৫ ভাগ মানুষ গ্রামে বাস করেন। তা-ও কৃষকের স্বার্থ উপেক্ষিত।” তাঁর অভিযোগ, জমির অর্ডিন্যান্স জারি করা হয়েছে শিল্পপতিদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য। তাঁর পরামর্শ: প্রতিকার পেতে গণ আন্দোলন করতে হবে।
আত্ম সমালোচনার সুরে গুরুদাসবাবু বলেন, “দুর্বলতার জন্য আমরা পিছিয়ে পড়েছি। এর জন্য আমরাই দায়ী। বামপন্থী আন্দোলনের ত্রুটি- বিচ্যুতি আছে। সে জন্যই আমরা পশ্চিমবঙ্গে হেরেছি।” সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা বলেন, “আমাদের লড়াই সাম্প্রদায়িক বিভাজন ও কর্পোরেট পুঁজির আক্রমণের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে, কেন্দ্র ও রাজ্যের জনবিরোধী কর্মসূচির বিরুদ্ধে। কখনও জোয়ার আসে। কখনও ভাটা আসে। ভাটা মানে ফুলস্টপ নয়।”