ডিসেম্বরের সভায় জেলায় ঢোকার ঘোষণা লক্ষ্মণের

ন্যাশনাল কনফেডারেসি অফ ইন্ডিয়া (এনসিআই)-এর সভার মাধ্যমে পূর্ব মেদিনীপুরে ঢোকার কথা ঘোষণা করলেন লক্ষ্মণ শেঠ। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় হলদিয়া আদালতের এসিজেএমের এজলাসে হাজিরা দিতে এসে এ কথা বলেন এনসিআই-এর সদ্য নিযুক্ত রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন সিপিএম নেতা লক্ষ্মণবাবু। আদালত চত্বরে এ দিন তিনি বলেন, “জেলায় ঢোকার ক্ষেত্রে আদালতের যে শর্ত ছিল, তা উঠে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ০১:৩২
Share:

আদালতে লক্ষ্মণ। নিজস্ব চিত্র।

ন্যাশনাল কনফেডারেসি অফ ইন্ডিয়া (এনসিআই)-এর সভার মাধ্যমে পূর্ব মেদিনীপুরে ঢোকার কথা ঘোষণা করলেন লক্ষ্মণ শেঠ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় হলদিয়া আদালতের এসিজেএমের এজলাসে হাজিরা দিতে এসে এ কথা বলেন এনসিআই-এর সদ্য নিযুক্ত রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন সিপিএম নেতা লক্ষ্মণবাবু। আদালত চত্বরে এ দিন তিনি বলেন, “জেলায় ঢোকার ক্ষেত্রে আদালতের যে শর্ত ছিল, তা উঠে গিয়েছে। এখন থেকে পূর্ব মেদিনীপুর-সহ সারা রাজ্য, দেশের যে কোনও প্রান্তে ঘোরার ক্ষেত্রে আর কোনও অসুবিধা রইল না। আগামী ১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে জেলায় ঢুকব।”

এ দিন ৮৭ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৭০ জন হলদিয়ার ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম শর্মিষ্ঠা দত্তের এজলাসে আগাম জামিনের কাগজপত্র নিয়ে হাজিরা দেন। তাঁদের প্রত্যেকের থেকে ৫০০০ টাকা করে বন্ডে সেই জামিন নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম। ১৯ জানুয়ারি ফের তাঁদের আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম।

Advertisement

দু’টি শিবিরে ভাগ হয়ে এ দিন নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন অভিযুক্তেরা। একটি শিবিরে সিপিএম ছেড়ে এনআইতে যোগ দেওয়া লক্ষ্মণবাবু ও তাঁর অনুগামীরা ছিলেন। অন্য শিবির ছিল সিপিএম নেতাদের সঙ্গে। এ দিন লক্ষ্মণবাবু বলেন, “আমি এনসিআই-এর রাজ্য সভাপতি হয়েছি। এখন কোনও দলের বিরোধিতা নয়, আমাদের দলকে শক্তিশালী করতে উদ্যোগ নেব।” তিনি আরও বলেন, “হলদিয়া শিল্পাঞ্চল ও হলদিয়া বন্দরকে বাঁচাতে হবে। গণতন্ত্র, উন্নয়ন, জাতীয় ঐক্য নিয়ে আমরা মানুষের সামনে যাব। আমাদের মতামত জানাবো। হলদিয়া বন্দর ও হলদিয়া শিল্পাঞ্চলকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবো।” ইতিমধ্যে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার গভীর সমুদ্রে কণিকা স্যান্ডে ট্রান্স লোডিংয়ের অনুমতি দিয়েছে। যার অনুমতি দেওয়ার জন্য আমি আগেই বলেছিলাম। এর ফলে হলদিয়া বন্দরের উপকার হবে। হলদিয়া বন্দর ও শিল্পাঞ্চলকে বাঁচাতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে আমরা আলোচনা করব। প্রয়োজনে বিধায়ক, সাংসদদের কাছেও যাব বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “অন্য দলের সাংসদ, বিধায়করা আমাদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বি হলেও শত্রু নয়। উন্নয়নের স্বার্থে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় যেতে অসুবিধা নেই”

লক্ষ্মণবাবু বলেন, “কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উদ্যোগী হলে হলদিয়া শিল্পাঞ্চল আরও সমৃদ্ধ হবে। হলদিয়া বন্দরকে বাঁচাতে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট সেভাবে এগিয়ে আসেনি। তাছাড়াও বামফ্রন্ট সরকারের উদাসীনতার কারণে বন্দরের সমস্যা মেটানো যায়নি।” তিনি বলেন, “গত কালই মুখ্যমন্ত্রী সিইএসসি-র বিদ্যুৎ কারখানার উদ্বোধন করেছেন। এতে রাজ্যের ভালো হবে। এইচডি-এর চেয়ারম্যান থাকাকালীন ওই জমি সঞ্জীব গোয়েঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিলাম। আমার আমলেই সেখানে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল।” তাঁর বক্তব্য, “এইচপিএল-এর ভাল সম্ভাবনা রয়েছে।”

অবরোধে ডিএসও। বাসভাড়া কমানোর দাবিতে এ বার রেলশহরেও পথ অবরোধ কর্মসূচিতে পালন করল ডিএসও। বৃহস্পতিবার খড়্গপুর শহরের ইন্দায় কলেজের সামনে ওটি রোডে অবরোধ করেন ডিএসও-র সদস্যরা। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে খড়্গপুরের প্রবেশদ্বার বলে পরিচিত ওই সড়কে প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে অবরোধ চলায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। এসইউসি-র ওই ছাত্র সংগঠনের অফিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরেই বাসগুলি বেশি ভাড়া নিচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement