খুর চালিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল দূরপাল্লার ট্রেনে। বুধবার রাতে হাওড়া-খড়্গপুর শাখার সাঁতরাগাছি স্টেশনের কাছে শালিমার-পুরী সাপ্তাহিক এক্সপ্রেসে ঘটনাটি ঘটে। তাপস জানা নামে আক্রান্ত রেলযাত্রী পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটার বাসিন্দা। খড়্গপুরে এসে তিনি রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে রেলের নিরাপত্তা।
পেশায় কলকাতার বেসরকারি সংস্থার কর্মী তাপসবাবু বুধবার রাতে অফিসের কাজে শালিমার-পুরী সাপ্তাহিক এক্সপ্রেসে চেপে জাজপুরে যাচ্ছিলেন। তিনি শালিমার থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন। তাপসবাবুর দাবি, সেই সময় ওই সংরক্ষিত কামরায় তিনি-সহ আরও দু’জন যুবক ছিলেন। ট্রেন সাঁতরাগাছি স্টেশনের কাছে এলে তাপসবাবুর হাতে থাকা ল্যাপটপের ব্যাগ ছিনিয়ে নেন বছর আঠাশ ও বছর তিরিশের ওই দুই যুবক। এমনকী মোবাইল, ঘড়ি-সহ সর্বস্ব দিয়ে দিতে বললে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন তাপসবাবু। সেই সময়েই তাঁর হাতে খুর চালায় ওই দুই যুবক। তাপসবাবু চেঁচিয়ে উঠতেই চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে নেমে যায় তাঁরা। তাপসবাবু বলেন, “ট্রেনে ওঠার পর থেকেই আমার ওই দু’জনকে দেখে সন্দেহ হচ্ছিল। ওরা যে এমন কাণ্ড করবে বুঝতে পারিনি।”
রাত এগারোটা নাগাদ ট্রেন খড়্গপুরে পৌঁছালে তাপসবাবু পুলিশে অভিযোগ করেন। তাঁকে রেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়। রেল সূত্রে খবর, নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ট্রেনেই রাতে নিরাপত্তারক্ষী থাকার কথা। এক্ষেত্রে রেল পুলিশ ও রেল সুরক্ষাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান চালায়। কিন্তু বাস্তবে অধিকাংশ ট্রেনেই কোনও নিরাপত্তারক্ষী থাকে না। এক্ষেত্রে কর্মীসংখ্যার অভাবকে দায়ী করেছে রেল পুলিশ ও রেল সুরক্ষা বাহিনী। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের সিনিয়ার কমার্শিয়াল ম্যানেজার মুরলিধর সাহু বলেন, “এটা ঠিক নিরাপত্তা প্রয়োজন কিন্তু নিরাপত্তাকর্মীর অভাব রয়েছে। অধিকাংশ দূরপাল্লার ট্রেনেই নিরাপত্তাকর্মী থাকলেও সমস্ত কামরায় তা দেওয়া সম্ভব হয় না। বিষয়টি রেল বোর্ড দেখছে।”