গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, দলীয় পুরপ্রধানের নামে স্মারকলিপি তৃণমূলের

পুর-পরিষেবা বেহাল— এই দাবিতে তৃণমূল পরিচালিত এগরা পুরসভার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দিল দলের একাংশ নেতা-কর্মীরা। সামনেই পুরভোট এগরায়। তার আগে তৃণমূলেরই একাংশ দল-পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেওয়ায় দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দল ফের সামনে এল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

এগরা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৪ ০০:৫১
Share:

বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের মিছিল। ছবি: কৌশিক মিশ্র।

পুর-পরিষেবা বেহাল— এই দাবিতে তৃণমূল পরিচালিত এগরা পুরসভার পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দিল দলের একাংশ নেতা-কর্মীরা। সামনেই পুরভোট এগরায়। তার আগে তৃণমূলেরই একাংশ দল-পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে স্মারকলিপি দেওয়ায় দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দল ফের সামনে এল।

Advertisement

শুক্রবার পুরপ্রধান স্বপন নায়কের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজ ও টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ এনে স্মারকলিপি দেন তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর বলে পরিচিত প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তপন কর। এ দিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ দলীয় পতাকা নিয়ে পুরভবনে হাজির হন প্রায় তিনশো সমর্থক। বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা তপন কর বলেন, “পুরপ্রধান অনৈতিক ভাবে অনেক কাজ করছেন। তা ছাড়া পুর-পরিষেবা বেহাল। আমরা তাই দলের পক্ষে আমজনতার হয়ে এর প্রতিবাদ করছি।” পরে স্বপনবাবুর কুশপুতুলও দাহ করা হয়।

এগরা পুর-এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছেই। যুযুধান দু’পক্ষের এক দিকে রয়েছেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা বর্তমান পুরপ্রধান স্বপন নায়ক, অন্য দিকে রয়েছেন তপন কর, জয়ন্ত সাউ প্রমুখ। গত লোকসভা ভোটের সময়েও মেদিনীপুর কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী সন্ধ্যা রায়ের সভায় প্রকাশ্যে কোন্দলে জড়িয়েছিল দু’পক্ষ। প্রার্থীর সামনেই এগরা হাইস্কুলের সভায় প্রকাশ্যে চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি করেছিল বিবাদমান দু’পক্ষের অনুমাগীরা। এ দিনের ঘটনায় ফের সেই কোন্দল সামনে এল।

Advertisement

স্মারকলিপি দিতে এসে তপন কর, জয়ন্ত সাউরা অভিযোগে জানান, সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড সংস্কার, বাড়ি বাড়ি জল প্রকল্পে টাকা নয়ছয়-সহ গরিব ও গৃহহীনদের জন্য বাড়ি তৈরির টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। পুরসভার চাকরিপ্রার্থীদের থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে। রাস্তাঘাট মেরামত করা হচ্ছে না। তাঁদের অভিযোগ, অধিকাংশ কাজই পুরপ্রধানের নিষ্ক্রিয়তার থমকে রয়েছে। এ দিনের কর্মসূচির সময়ে পুরপ্রধান ছিলেন না। ফলে বাধ্য হয়ে এক কর্মীর কাছেই স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। এ নিয়েও ক্ষোভ জানান বিক্ষুব্ধরা। তাঁদের বক্তব্য এ ভাবে পালিয়ে কোনও লাভ হবে না! এ দিন পুরসভার সামনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ মোতায়েন করা হয়।

এ দিকে পুরপ্রধান স্বপন নায়ক কলকাতায় আছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি ফোনে এ দিন বলেন, “আগামী ২৩ জুলাই অফিসের পিয়ন মারফৎ ওদের সময় দিয়েছিলাম। কেন এ দিনই চলে এল বুঝতে পারছি না।” তাঁর সংযোজন, “দলীয় কর্মীরা দল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে কী করে এমন কাজ করল জানি না!”

সামনেই পুরভোট। তার আগে এমন দ্বন্দ্ব তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলবে বলেই এলাকাবাসীর মত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement