কেশপুরে প্রহৃত মহিলা

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই এলাকায় শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়েছে। এ বার মারধরে দুই মহিলা জখম হয়েছেন। কামরুন বিবি এবং আজমিরা বিবিকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। দু’জনই চিকিত্‌সাধীন। কামরুনের আঘাতই বেশি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:৩৯
Share:

তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ফের উত্তেজনা ছড়াল কেশপুরে। ঘটনাস্থল সেই খেজুরবনি।

Advertisement

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এই এলাকায় শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ হয়েছে। এ বার মারধরে দুই মহিলা জখম হয়েছেন। কামরুন বিবি এবং আজমিরা বিবিকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে। দু’জনই চিকিত্‌সাধীন। কামরুনের আঘাতই বেশি।

প্রহৃত দুই মহিলাই তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদের অনুগামী বলে পরিচিত। আর এ দিন এলাকায় যারা গোলমাল করে তারা ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় পানের অনুগামী বলে অভিযোগ। রবিবার দুপুরে এলাকায় তৃণমূলের বুথ সম্মেলন হয়। সম্মেলন শেষে সঞ্জয় অনুগামীরা মিছিল করে। সেই মিছিল থেকেই মহিউদ্দিন অনুগামীদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালানো হয়। জখম কামরুন বলেন, “ওরা লাঠি নিয়ে হামলা চালিয়েছে। আমার হাতে লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে।”

Advertisement

মহিউদ্দিনের কথায়, “সঞ্জয় পানের লোকজন এলাকায় অশান্তি করছে। এ দিন দুই মহিলাকে মারধর করেছে। পুলিশ ওদের আজ্ঞাবহ হয়ে রয়েছে” কামরুন, আজমিরাদেরও বক্তব্য, “আমরা সবাই তৃণমূলই করি। তাও ওরা গোলমাল করছে।”

সংঘর্ষের কথা অবশ্য মানতে চাননি তৃণমূলের কেশপুর ব্লক সভাপতি সঞ্জয় পান। তাঁর দাবি, “ওই এলাকায় বুথ সম্মেলন ছিল। তবে গোলমালের কোনও খবর জানি না।” পুলিশ অবশ্য মানছে, একটা গোলমাল হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। যে বা যারা গোলমাল করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement