কৌটো বোমা ও অস্ত্র উদ্ধার জামবনিতে

কৌটো বোমা ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হল জঙ্গলমহলে। শুক্রবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনিতে পড়িহাটি অঞ্চলের নাচদা এলাকায় দহিজুড়ি-পড়িহাটি রাস্তায় বাঁশিখালের সেতুর নীচে তার সংযুক্ত একটি বড় স্টিলের ক্যান দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। পাশে ছিল প্লাস্টিকের ব্যাগ। শনিবার দুপুরে মেদিনীপুর থেকে সিআইডির বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের কর্মীরা এসে কৌটো বোমাটি নিষ্ক্রিয় করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামবনি শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৪ ০০:৪৮
Share:

বোমা নিষ্ক্রিয়ের পরে। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।

কৌটো বোমা ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হল জঙ্গলমহলে। শুক্রবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনিতে পড়িহাটি অঞ্চলের নাচদা এলাকায় দহিজুড়ি-পড়িহাটি রাস্তায় বাঁশিখালের সেতুর নীচে তার সংযুক্ত একটি বড় স্টিলের ক্যান দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। পাশে ছিল প্লাস্টিকের ব্যাগ। শনিবার দুপুরে মেদিনীপুর থেকে সিআইডির বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের কর্মীরা এসে কৌটো বোমাটি নিষ্ক্রিয় করেন। ক্যানের ভিতরে বালি, স্টোনচিপ্স এবং একটি হাতবোমা ছিল। পাশের ব্যাগে ছিল একটি এক নলা দেশি রিভলবার, থ্রি নট থ্রি ও ইনসাসের দু’টি তাজা কার্তুজ এবং বেশ কিছুটা ইলেকট্রিক তার। ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার ভারপ্রাপ্ত সুপার ভারতী ঘোষ বলেন, “এটা মাওবাদীদের কাজ নয়। স্থানীয় দুষ্কৃতীরাই বদ মতলবে কৌটো বোমা ও ব্যাগটি রেখেছিল। পড়িহাটি থেকে নাসিম মির্জা নামে এক যুবককে ধরা হয়েছে। সে কৌটো বোমা ও ব্যাগ রাখার কথা স্বীকার করেছে।” তল্লাশি-অভিযান চালানোর সময় শুক্রবারই লালগড়ের ঝিটকা ও শালবনির রঞ্জার জঙ্গল থেকে দু’টি মাইন উদ্ধার করেছিল পুলিশ। সন্দেহজনক স্টিলের ক্যান দেখা যাওয়ার পরে শুক্রবার রাতেই দহিজুড়ি-পড়িহাটি পিচরাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় মাওবাদী যোগ পুলিশ সুপার উড়িয়ে দিলেও লোকসভা ভোটের আগে জঙ্গলমহলে মাওবাদী তৎপরতা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে বিভিন্ন মহলে। জঙ্গলমহলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরপির এক কমান্ডান্ট বলেন, “সিআরপি ও পুলিশের নিয়মিত তল্লাশির ফলে মাওবাদীরা সুবিধে করতে পারছে না ঠিকই। তবে ওরা গোলমাল পাকানোর জন্য সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement