আজ, শুক্রবার কেশপুরে নির্বাচনী সভা করতে আসছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। সকাল ৯টায় সিপিএমের জোনাল কার্যালয়, জামশেদ ভবনের অদূরে সভা হওয়ার কথা।
কেশপুর বিধানসভাটি ঘাটাল লোকসভার অন্তর্গত। আগামী ১২ মে এখানে নির্বাচন। গত কয়েকদিন ধরেই সূর্যবাবুর সভার সমর্থনে কেশপুরের বিভিন্ন এলাকায় সিপিএম প্রচার করেছে। বিরোধী দলনেতা ছাড়াও সভায় উপস্থিত থাকার কথা ঘাটালের বাম প্রার্থী তথা সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা, সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তরুণ রায়, স্থানীয় বিধায়ক রামেশ্বর দোলুইয়ের। রামেশ্বরবাবু বলেন, “সুষ্ঠু ভাবে সভা করতে সব রকম পদক্ষেপই করা হয়েছে।” কেশপুরের সিপিএম নেতা এন্তাজ আলি বলেন, “ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রস্তুতিও সারা হয়েছে।”
রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরের এই এলাকায় রাজনৈতিক ভাবে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে সিপিএমকে। বহু নেতা-কর্মী একের পর এক মামলায় জড়িয়ে পড়েন। অনেকে এলাকা ছাড়েন। ফলে, সংগঠনে ধস নামে। তবে গ্রেফতার হওয়া নেতা-কর্মীদের অনেকেই জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর সংগঠন পুনর্গঠনে উদ্যোগী হয় সিপিএম। সব অঞ্চলে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠানো হয়। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। বাম প্রার্থীর প্রচারে সাড়া মিলছে। ইতিমধ্যে ঘরছাড়া কর্মী-সমর্থকদের একাংশ ঘরেও ফিরেছেন।
গত মাসে জামশেদ ভবনে এক সভা করে সিপিএম। সাংগঠনিক সেই সভায় ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। সভার পরে ১৫টি অঞ্চলের কর্মী-সমর্থকদের এনে মিছিলও হয়। পালাবদলের পর এমন কেশপুরে সিপিএমের কেন্দ্রীয় মিছিল এই প্রথম। আজ, শুক্রবারের সভাতেও বহু কর্মী-সমর্থক আসবেন বলে আশাবাদী সিপিএম নেতৃত্ব।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেশপুরে সিপিএমের ভরাডুবি হয়েছে। হাতেগোনা কয়েকটি আসনের বাইরে দল প্রার্থীই দিতে পারেনি। ফলস্বরূপ, গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩০টি আসনের মধ্যে ২২৩টি তৃণমূলের দখলে আসে। পঞ্চায়েত সমিতির ৪৪টি আসনের মধ্যে ৪২টি পায় তৃণমূল। যেখানে তৃণমূল জেতেনি, সেখানেও সিপিএম প্রার্থীরা জয় পাননি। জিতেছে নির্দল। এই পরিস্থিতিতে ভোটের মুখে কেশপুরে এসে বিরোধী দলনেতা ঠিক কী বার্তা দেন, তারই অপেক্ষায় বাম কর্মী-সমর্থকেরা।