আগুনে পুড়ে ছাই আইআইটি-র গুদাম

আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল আইআইটি-র কেন্দ্রীয় গুদাম। বৃহস্পতিবার খড়্গপুর আইআইটি-র মূল ভবন থেকে দেড়শো মিটার দূরে কেন্দ্রীয় গুদামে আগুন লাগে। এ দিন সকালে গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখেন কর্মরত ঠিকাকর্মীরা। আইআইটি-র নিরাপত্তারক্ষীরা এসে দমকলে খবর দেয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৩৭
Share:

আগুন নেভাতে ব্যস্ত দমকল কর্মীরা।

আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেল আইআইটি-র কেন্দ্রীয় গুদাম। বৃহস্পতিবার খড়্গপুর আইআইটি-র মূল ভবন থেকে দেড়শো মিটার দূরে কেন্দ্রীয় গুদামে আগুন লাগে। এ দিন সকালে গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখেন কর্মরত ঠিকাকর্মীরা। আইআইটি-র নিরাপত্তারক্ষীরা এসে দমকলে খবর দেয়। রাজ্য দমকলের তিনটি ও বায়ুসেনার দু’টি দমকলের ইঞ্জিন প্রায় ছ’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খড়্গপুর দমকল বিভাগের ওসি রবীন্দ্রনাথ সর্দার বলেন, “সকাল সাড়ে দশটায় আগুন লাগার খবর পাই। গুদামে অনেক দাহ্যবস্তু মজুত থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সময় লেগেছে। তবে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।” যদিও সালুয়ায় বায়ুসেনার দমকলের দায়িত্বে থাকা জেডব্লিউও জি রণবীর বলেন, “আগুন দাহ্যবস্তু থেকে ছড়িয়েছে। তবে আমাদের মনে হয়েছে, এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়। আগুন লাগার পিছনে কোনও গাফিলতি নিশ্চয়ই রয়েছে।” খড়্গপুর আইআইটি-র ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগুন লাগার কারণ আমাদের কাছে এখনও পরিষ্কার নয়। গুদামের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক ও পুলিশের কাছে তদন্ত রিপোর্ট চাওয়া হবে। প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও তদন্ত করা হবে।” যদিও আইআইটি-র বিভিন্ন বিভাগের পঠন-পাঠন ও কাজকর্ম নির্বিঘ্নেই হয়েছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল পৌনে দশটা নাগাদ আইআইটি চত্বরের কেন্দ্রীয় গুদামে আগুন লাগে। ঠিকাকর্মীরাই প্রথমে গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখে নিরাপত্তারক্ষীদের খবর দেন। প্রথমে খড়্গপুর দমকল বিভাগের দু’টি ইঞ্জিন আসে। কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়াতে থাকায় কলাইকুণ্ডা বায়ুসেনা ও মেদিনীপুর দমকল বিভাগ থেকেও একটি করে দমকলের ইঞ্জিন এসে পৌঁছয়। প্রায় ছ’ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল ৪টে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ভস্মীভূত গুদাম।

Advertisement

একসময়, এই গুদামের স্থানেই ছিল ভারতের প্রথম মহিলা বন্দিনিবাস। পরবর্তীকালে ওই বন্দিনিবাসেই আইআইটি-র কেন্দ্রীয় গুদাম গড়ে তোলা হয়। যদিও আইআইটি-র রেজিস্ট্রার বলেন, “বহু বছর ধরেই মহিলা বন্দিনিবাসে গুদাম রয়েছে। তবে আমরা ‘ক্যাম্পাস প্ল্যানিং কমিটি’-র মাধ্যমে ওই বন্দিনিবাস সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছি।”

আইআইটি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় গুদামে আইআইটি-র পরিত্যক্ত কম্পিউটর, আসবাব, রেফ্রিজারেটর-সহ নানা দাহ্যবস্তু রাখা ছিল। প্রায় প্রতিবছরই আইআইটি কর্তৃপক্ষ গুদামে জমা পরিত্যক্ত সামগ্রীগুলি নিলাম করে বিক্রি করে। এ বছরও গত নভেম্বরে নিলামে এক ঠিকাদার গুদামের একাংশের বরাত পায়। ওই গুদামের পাশেই আইআইটি-র কাঠমিলে কর্মরত ঠিকা কর্মী স্বপন দে বলেন, “সকাল সাড়ে ন’টা থেকে আমরা কাঠের কাজ করছিলাম। হঠাত্‌ ওই গুদামে আগুন দেখে সকলকে জানাই। দিন কয়েক আগে নিলামে এক ঠিকাদার গুদামের বরাত পেয়েছিল বলে শুনেছি। এর বেশি কিছু জানি না। এ বিষয়ে আইআইটি-র রেজিস্ট্রার বলেন, “এটা ঠিক যে, নিলাম হয়েছিল। তবে গুদামের নিলাম হওয়া অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না তা তদন্তের পরেই বলা সম্ভব।”

ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement