ফাইল চিত্র।
বকেয়া বেতন মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে ফের কর্মীদের ‘ধর্মঘটে’ সংকট’ দেখা দিল বিসি রায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মঙ্গলবার রাত থেকে শতাধিক কর্মীর অবস্থান বিক্ষোভে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে হলদিয়ার একমাত্র বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে গতকাল রাত থেকে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীরা অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। বুধবার হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ ছিল। এদিন হাসপাতাল পরিচালন কমিটির কর্মকর্তারা হাসপাতালে গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বিক্ষুব্ধ কর্মীদের দাবি, আর প্রতিশ্রুতি নয়। বকেয়া বেতন আংশিক না মেটানো পর্যন্ত তাঁরা কাজে যোগ দেবেন না।
মহাদেব দাস ও গৌতম গিরি নামে মেডিক্যাল কলেজের দুই কর্মীর অভিযোগ, ‘‘বছরখানেক ধরে বেতন পাইনি। সংসারের খরচ চালানোর জন্য ন্যূনতম টাকা চাওয়া হলেও কর্তৃপক্ষ সাড়া দেননি।’’ আন্দোলনকারীরা জানান, গত এক বছর ধরে হাসপাতালের কাজে নিযুক্ত শতাধিক কর্মী ও নার্স বেতন পাননি। কয়েকদিন আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল ইন্টার্নরা। ওই কলেজের চতুর্থ বর্ষের এক পড়ুয়া তথা ইন্টার্ন জানান, সারাদিন রোগীই আসেনি। তা আই এদিন ইন্টার্ন ক্লাস হয়নি। শুধু ইন্টার্ন নয়, এদিন দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পঠনপাঠনও বিঘ্নিত হয়।
স্থানীয়দের দাবি, কর্মীদের লাগাতার অবস্থান-বিক্ষোভে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন রোগীরা। বুধবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে গিয়েছিলেন বালুঘাটার এক প্রবীণ রামচন্দ্র সাউ। তাঁর পরিবারের দাবি, গেটের বাইরে কয়েক জন প্ল্যাকার্ড হাতে ঘুরছিলেন। তাঁরাই জানালেন হাসপাতাল বন্ধ রয়েছে। তাই ওখান থেকে ফিরে মহকুমা হাসপাতালে আসি।’’
অশান্তির কথা স্বীকার না করলেও, হাসপাতালের চিকিৎসক অয়ন কুমার মিত্র জানান, মঙ্গলবার সকালেও ডিউটিতে গিয়েছিলাম। তারপর কী হয়েছে জানি না। বিসি রায় হাসপাতালের তৃণমূল সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনের নেতা জয়দেব দাস বলেন, ‘‘বেতনের দাবিতে হাসপাতালের কর্মীদের আন্দোলন যুক্তিসঙ্গত। দাবি না মিটলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবেন কর্মীরা।’’
মেডিক্যাল কলেজটি যে সংস্থার অধীন সেই আইকেয়ার-এর চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন সাংসদ লক্ষণ শেঠ বলেন, ‘‘হাসপাতালে কিছুই হয়নি। যা বলা হচ্ছ , সব মিথ্যে।’’