কোলাঘাটে ছাই খাদানের কাজ চালুর দাবিতে অবরোধ

সোমবার সকাল ৮ টা থেকে এই অবরোধে আটকে পড়ে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলগামী পণ্যবাহী গাড়ি ও দিঘাগামী সরকারি-বেসরকারি বাস। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ চলার কোলাঘাট থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৭ ০১:১৮
Share:

বিক্ষোভ: হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের। নিজস্ব চিত্র

কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই খাদান থেকে ছাই তোলার কাজ না পাওয়ায় হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করল তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন।

Advertisement

সোমবার সকাল ৮ টা থেকে এই অবরোধে আটকে পড়ে হলদিয়া শিল্পাঞ্চলগামী পণ্যবাহী গাড়ি ও দিঘাগামী সরকারি-বেসরকারি বাস। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ চলার কোলাঘাট থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য ছাই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংলগ্ন কয়েক ছাই পুকুরে (অ্যাশপন্ড) ফেলা হয় পাইপলাইনের মাধ্যমে। ওই সব ছাই খাদান থেকে ছাই অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নোডাল এজেন্সি হিসেবে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদের তরফে টেন্ডার ডেকে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। ঠিকাদার সংস্থাগুলি ছাইখাদান থেকে ছাই লরিবোঝাই করে অন্যত্র নিয়ে যায়। এই কাজে লরিচালক, খালাসি ও লরিতে ছাই তোলার কাজে যুক্ত লোক মিলিয়ে কয়েক’শ শ্রমিক কাজ করেন।

Advertisement

কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ছাই তোলায় সমস্যা এবং জিএসটি চালু হওয়ায় ছাই অপসারণে যুক্ত ঠিকাদার সংস্থাগুলি অতিরিক্ত খরচের কারণ দেখিয়ে ছাই তোলার জন্য নির্ধারিত অর্থ বৃদ্ধির দাবি জানায়। এ নিয়ে টানাপড়েনে ছাই সরানোর কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে লরিচালক, খালাসি ও শ্রমিকরা কাজ না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন।

ঠিকাদার সংস্থা, জেলা পরিষদ ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের আলোচনায় সম্প্রতি সমস্যা মেটে। ছাই তোলার জন্য জেলা পরিষদের তরফে টেন্ডার করে ঠিকাদারও নিযুক্ত হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু সোমবার স্থানীয় তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত শ্রমিক সংগঠনের (কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার অ্যাশ লোডিং-আনলোডিং কনট্রাক্টরস লেবার অ্যাসোসিয়েশন) একদল শ্রমিক ছাইখাদান সংলগ্ন হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দ্রুত ছাইখাদানে কাজ চালুর দাবিতে।

অবরোধে নেতৃত্ব দেওয়া সেখ হাফিজুর রহমান এবং টুটুল মল্লিক জানান, কয়েক মাস ধরে ছাই খাদান বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন না। রোজগার বন্ধ থাকায় শ্রমিকেরা আর্থিক সঙ্কটে পড়েছেন। ঠিকাদার নিয়োগ করার পরেও ছাই তোলার কাজ হচ্ছে না। তাঁরা চান দ্রুত ছাই খাদানের কাজ শুরু হোক।

জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সেখ সুফিয়ান বলেন, ‘‘ছাইখাদান থেকে ছাই তোলার কাজে ঠিকাদার নিয়োগ হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই কাজ চালু হয়ে যাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement