বোমা ফেটে জখম মহিলাকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হল। মেদিনীপুর মেডিক্যাল সূত্রে খবর, সেখানে ‘বার্ন ইউনিট’ না থাকায় শনিবার সকালে কেশপুরের ওই মহিলাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। হাসপাতাল সুপার যুগল কর বলেন, “ওই মহিলার অবস্থা স্থিতিশীলই ছিল।’’ শুক্রবার দুপুরে বোমা ফেটে জখন হন হোসনাতারা বেগম। বাড়ি কেশপুরের গাছগেড়িয়ায়। হোসনাতারার স্বামী শেখ আখতার আলি স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা ফাটায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ গিয়ে হোসনাতারাকে উদ্ধার করে। ক’দিন আগেই পিংলায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। সেখানেও রঞ্জন মাইতি নামে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কেশপুরের ক্ষেত্রে বিরোধীদের দাবি, স্থানীয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা ছিল। তাই ফেটে যায়। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি আশিস চক্রবর্তীর অবশ্য দাবি, “ওখানে বোমা ফাটেনি। গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেছিল। এটা একটা দুর্ঘটনা।’’ পুলিশেরও বক্তব্য, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেই ওই মহিলা জখম হন।