জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ

জমি অধিগ্রহণে সায় পূর্বের জেলা পরিষদের

দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ক’টা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার অন্যতম ছিল দিঘা জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণ। অধিগ্রহণের কথা ছিল মমতারই জমি আন্দোলনের এক আঁতুড়ঘর নন্দীগ্রামের খুব কাছে, নন্দকুমার-দিঘা ১১৬বি জাতীয় সড়ককে আড়ে-বহরে বাড়াতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share:

দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ক’টা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তার অন্যতম ছিল দিঘা জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণ। অধিগ্রহণের কথা ছিল মমতারই জমি আন্দোলনের এক আঁতুড়ঘর নন্দীগ্রামের খুব কাছে, নন্দকুমার-দিঘা ১১৬বি জাতীয় সড়ককে আড়ে-বহরে বাড়াতে। জাতীয় সড়কের জমি অধিগ্রহণ নিয়ে আশ্বাসের সুর শোনা গিয়েছিল নন্দীগ্রামে জমি রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মুখেও।

Advertisement

এ বার নন্দকুমার থেকে দিঘা পর্যন্ত ১১৬ বি জাতীয় সড়কের জন্য ৩৫৮ একর জমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন বলে জানালেন জাতীয় সড়ক-২ ডিভিসনের নির্বাহী আধিকারিক বিকাশ মাঝি। মঙ্গলবার কাঁথি মহকুমাশাসকের সভাকক্ষে এই বৈঠকে জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে সম্মতি দেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) কৃষ্ণেন্দু বসাক এবং জেলা সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডলও। জাতীয় সড়কটি ১০ মিটার পিচ-সহ ১৪ মিটার চওড়া হবে। হেঁড়িয়া, নাচিন্দা, কাঁথি, বালিসাই ও রামনগরে ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ পাঁচটি বাইপাস রোড থাকবে। এছাড়াও নরঘাট ও কালিনগরের নদীর উপরে দুটি সেতু তৈরি করা হবে। চণ্ডীপুর ও বাজকুলে হবে দুটি আন্ডারপাস রোডও তৈরি হবে।,মোট তিনটি পর্যায়ে জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ হবে। প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। প্রথম দু’টি পর্যায়ে ২৪০ কোটি টাকা ও তৃতীয় পর্যায়ে খরচ হবে ১১০ কোটি টাকা। জাতীয় সড়ক নির্মাণের জন্য ৩৫৮ একর জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে জেলা প্রশাসন, জন প্রতিনিধিদের মতামত জানতেই এ দিন বৈঠক ডাকা হয়েছিল।

বিকাশ মাঝি জানান, ডিসেম্বর মাসে জাতীয় সড়ক প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। অনুমোদন মিললেই নতুন বছরের গোড়ায় জাতীয় সড়ক নির্মাণ শুরু হয়ে যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement