মডেল অঙ্গনওয়াড়ি চালু হয়েছে দিন কয়েক আগে। কিন্তু তখনই একটা প্রশ্ন উঠে এসেছিল। রাজ্যের বেশিরভাগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেরই নিজস্ব ভবন নেই। ঘর ভাড়া করে চলা ওই সব কেন্দ্রকে আদর্শ হিসাবে দেখা হবে কেন? সেই সমস্যা সমাধানেই সচেষ্ট হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। অঙ্গনওয়াড়ির নিজস্ব বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার ক্ষেত্রে এ বার একশো দিনের কাজের প্রকল্পকে যুক্ত করল জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ।
সরকারি প্রকল্পে চলা এইসব কেন্দ্রগুলির বেশিরভাগই চলে কোথাও প্রাথমিক স্কুলে কিংবা ক্লাবঘরে। কোথাও আবার বসত বাড়ি ভাড়া নিয়েও কাজ চালাতে হয়। ঠিক হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রথম পর্যায়ে ৩০৬টি অঙ্গনওয়াড়ির জন্য বাড়ি করা হবে। প্রতিটি বাড়ির জন্য ৭ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে একশো দিনের কাজের প্রকল্প থেকে ৫ লক্ষ এবং রাজ্য সমাজ কল্যাণ দফতর থেকে ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির বাড়ি নির্মাণে একশো দিনের কাজের প্রকল্পকে যুক্ত করে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারি সম্মতি পাওয়া গিয়েছে।’’
জেলায় এখন ৫৯২৪ টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে মাত্র এক হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রের একজন কর্মী এবং সহায়ক রয়েছেন। কিন্তু বাড়ি না থাকায় শিশুদের পড়াশোনায় অসুবিধা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার রান্না করায়। জেলা পরিষদের শিশু ও নারী উন্নয়ন দফতরের কর্মাধ্যক্ষ অপর্ণা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘উপযুক্ত জায়গা পাওয়া নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। তবে বাড়ি তৈরি করতে তো টাকারও প্রয়োজন। একশো দিনের কাজের প্রকল্পের সঙ্গে এই কাজকে যুক্ত করা গেলে নির্মাণ সামগ্রী কেনা, শ্রমিকদের মজুরি বাবদ অর্থ সংস্থান করা যাবে।’’ তাঁর দাবি, চলতি মাসেই জেলার প্রতিটি ব্লকে এই পদ্ধতিতে কাজ শুরু হবে।