Higher Secondary Exam 2024

প্রশ্ন ফাঁস রুখতে সতর্কতা

পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে যে কোনও সফটওয়্যার ডিভাইস নিয়ে ঢোকার ক্ষেত্রে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে জেলা শিক্ষা দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:৩৬
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মাধ্যমিকের মতো উচ্চ মাধ্যমিকে যাতে প্রশ্ন ফাঁস না হয় তার জন্য এক গুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। নির্দেশিকা মেনে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে জেলা শিক্ষা দফতর।

Advertisement

বিগত প্রায় এক দশক ধরে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হারে প্রথম স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। শিক্ষায় আগুয়ান জেলায় এ বার ৪৩ হাজার ৮৯২ জন পরীক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক দেবে। মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ৭২টি। মাধ্যমিকের মতো প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে বাড়তি সতর্ক জেলা প্রশাসন। প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকছে সিসি ক্যামেরা। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ প্রশ্নপত্রে 'ইউনিক' সিরিয়াল নম্বর রেখেছে। পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্রে সেই সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে। এ ছাড়াও প্রশ্নপত্রে থাকছে লুকানো 'কিউআর কোড'(কুইক রেসপন্স কোড) এবং 'বারকোড'। মোবাইলে প্রশ্নপত্রের ছবি তুললেই সক্রিয় হবে সেই কোড। তার থেকেই জানা যাবে, কোন পরীক্ষার্থী প্রশ্ন ফাঁস করেছে।

পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে যে কোনও সফটওয়্যার ডিভাইস নিয়ে ঢোকার ক্ষেত্রে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে জেলা শিক্ষা দফতর। পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার সময় পরিক্ষার্থীদের ভালভাবে পরীক্ষা করে তবেই ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে। শৌচাগারে কোনও পরীক্ষার্থী যাতে মোবাইল না রাখতে পারে, সে ব্যাপারেও পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিকে বাড়তি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

Advertisement

সরস্বতী পুজোর এক দিন পরেই এ বার উচ্চ মাধ্যমিক হচ্ছে। পরীক্ষার আগের দিনও জেলার বিভিন্ন জায়গায় উচ্চ স্বরে পুজো ও বিচিত্রানুষ্ঠানের মাইক বাজানোর অভিযোগ উঠেছে। নাগরিক সুরক্ষা কমিটির মুখপাত্র নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,"বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা বিধি লঙ্ঘন করেই জোরে জোরে মাইক বাজছে। পরীক্ষার্থীরা প্রস্তুতি সারতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছে। প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ করা উচিৎ।’’

এ ব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভাশিস মিত্রের কথায়, ‘‘পরীক্ষার আগে এবং পরীক্ষার সূচির মধ্যে মাইক বাজানোর বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের গাইডলাইন মেনে পরীক্ষার যাবতীয় আয়োজন সেরে ফেলা হয়েছে।’’ অন্যদিকে, পরীক্ষার জেলা উপদেষ্টা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক তথা সমীর ভৌমিক বলেন, ‘‘অসুস্থতার কারণে পরীক্ষা দেওয়ার বিকল্প ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলার দু’জন পরীক্ষার্থী অসুস্থ বলে স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে। তাদের সরকারি কোনও হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement