রাস্তা থেকে জল নামুক, চাইছেন বাস ব্যবসায়ীরা

অবস্থার উন্নতি হলেও এখনও ঘাটাল-চন্দ্রকোনা-সহ অনান্য সড়ক থেকে জল এখনও নামেনি। ফলে বন্ধ বাস-সহ যান চলাচল। আর দশ দিনের বেশি দিন ধরে ঘাটালে বাস বন্ধ থাকার ফলে ভাব পড়েছে পরিবহণ ব্যবসার উপর। সমস্যায় পড়েছেন প্রায় ১৩৫০ জন বাস শ্রমিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৫ ০০:৫৩
Share:

স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে রয়েছে বাস। ঘাটালে তোলা নিজস্ব চিত্র।

অবস্থার উন্নতি হলেও এখনও ঘাটাল-চন্দ্রকোনা-সহ অনান্য সড়ক থেকে জল এখনও নামেনি। ফলে বন্ধ বাস-সহ যান চলাচল। আর দশ দিনের বেশি দিন ধরে ঘাটালে বাস বন্ধ থাকার ফলে ভাব পড়েছে পরিবহণ ব্যবসার উপর। সমস্যায় পড়েছেন প্রায় ১৩৫০ জন বাস শ্রমিক।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ঘাটাল-চন্দ্রকোনা সড়কের সঙ্গে বহু সড়কের যোগাযোগ রয়েছে। ফলে ওই রুট দিয়ে এখন প্রতিদিন গড়ে ২৪০-২৪৫ টি বাস চলাচল করে। আর ঘাটাল-মেদিনীপুর(ভায়া নাড়াজোল) রুটে ৪০টি বাস চলাচল করে। কিন্তু জল জমে এতদিন ধরে সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে পারছে না কোন যানই। সূত্রের খবর, বহু বাস মালিক ঋণ নিয়ে বাস কিনেছেন। ফলে ওই সব মালিকরা দৈনন্দিন বাস চলার পর যা আয় হয়, তার থেকেই ব্যাঙ্কের কিস্তি মেটান। ফলে বাস বন্ধ থাকায় সমস্যায় প়ড়েছেন তাঁরাও। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় কাজ হারিয়ে বসে রয়েছেন চালক থেকে অন্যান্য শ্রমিকরাও। ঘাটাল বাস শ্রমিক সংগঠনের পক্ষে মেহের আলি খান বলেন, “আমাদের হিসাব অনুযায়ী ১৩৫০ জন কাজ করলেও দিন দিন বাস বাড়ায় শ্রমিকও বাড়ছে। ফলে আর্থিক সঙ্কটের জেরে সবারই মাথায় হাত।”

বাস মালিক সংগঠনের পক্ষে পুলক প্রামাণিক ও প্রভাত পানের বক্তব্য, বহু বাস মালিক দিনের টাকা বাঁচিয়ে মাসিক কিস্তি মেটান। টানা ১০-১২ দিন পুরোপুরি বাস চলাচল বন্ধ। ফলে আমরা কী সমস্যায় পড়েছি-বুঝতেই পারছেন।” এদিকে মালিক সংগঠনের পক্ষে মোহন বাগ বলেন, “প্রায় চল্লিশ শতাংশ মালিক গাড়ির টায়ার ভাড়া করে রুটে বাস চালান। বাস বন্ধ থাকলে তো টায়ার খুলে নেওয়া যাবে না। ফলে ওই টাকাও গুনতে হচ্ছে।” ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রুটের বাস শ্রমিক ললিত সরকার, দিলীপ পালদের গলাতেও একই সুর। তাঁরা বলেন, ‘‘একে বন্যার জলে বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। তার পর কাজও নেই। খুব খারাপ অবস্থা জানেন।’’

Advertisement

এদিকে ঘাটাল মহকুমা জুড়েই জল কমছে। আর তার সঙ্গে বাড়ছে পানীয় জল, সব্জি নষ্ট, এলাকায় দুর্গন্ধের মতো নানা সমস্যা। ঘাটালের প্রত্যন্ত গ্রাম ও সড়ক গুলিতে গলা ভর্তি জলও রয়েছে। কবে এই জল নামবে-তার ঠিক নেই। সড়কগুলি থেকে জল নেমে ঘাটাল ফের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে, তার অপেক্ষায় বাস মালিক থেকে শ্রমিক-সহ সকলেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement