এভাবে ড্রামে করে জল পৌঁছে দেওয়া হয় গ্রামে। নিজস্ব চিত্র
বাড়ি বাড়ি পাইপ বসানোর কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। তাই জলপ্রকল্প থেকে পানীয় জল সরবরাহ চালু হয়নি। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে পানীয় জল থেকে বঞ্চিত মন্দারমণি থেকে শৌলা পর্যন্ত ৬টি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। সমস্যা মেটাতে আপাতত ভ্যানরিকশায় ড্রামভর্তি করে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল ওই সব গ্রামে। কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে সেই পরিষেবাও বন্ধ হয়ে গেল পর্যটনকেন্দ্র মন্দারমণিতে। ফলে মন্দারমণি ও পাশ্ববর্তী পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দারা চরম জলসঙ্কটে পড়েছেন।
কালিন্দী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কিছু নলকূপ অকেজো। ফলে মন্দারমণি ও আশপাশের এলাকার পানীয় জলের সঙ্কট মেটানোর জন্য ভ্যানরিকশায় করে পানীয় জল গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল। জল সরবরাহ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা ওই কাজ করছিল। গত ১৯ মে থেকে ওই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছিল। গোপাল দাস নামে এলাকার এক বাসিন্দার দাবি, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গ্রামে ড্রাম ভর্তি পানীয় জল মেলেনি। এই গরমে তাঁর মতো অনেককে জলকষ্টে ভুগতে হয়েছে।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দাদনপাত্রবাড় পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প থেকে দাদনপাত্রবাড়, মন্দারমণি, সোনামুই, সিলামপুর, অরকবনিয়া ও শৌলাতে পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। কিন্তু ওই সব এলাকায় পাইপলাইন পাতার কাজ এখনও বাকি। আপাতত পানীয় জলের সঙ্কট মেটাতে স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরির উদ্যোগে ড্রাম ভর্তি করে ওই সব এলাকায় পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল। এদিন সেই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসুবিধায় পড়েন বাসিন্দারা। কেন জল সরবরাহ বন্ধ করা হল তা নিয়ে জল সরবরাহের কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। স্থানীয় কালিন্দী পঞ্চায়েতের প্রধান স্বপন দাস বলেন, ‘‘নিয়মিত দুটি ভ্যানরিকশায় জলের ড্রাম এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল। পরবর্তীকালে পাইপলাইন পাতা হলে গোটা এলাকায় জল সরবরাহ হওয়ার কথা। এদিন কেন এলাকায় জল সরবরাহ হল না খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
জনস্বাস্থ্য-কারিগরি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘গোটা এলাকায় পাইপ পাতার কাজ শেষ হয়েছে। তবে বিদ্যুতের একটি মাত্র হাইটেনশন লাইন থাকায় পানীয় জল সরবরাহে অসুবিধা হচ্ছে।’’ বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, ‘‘৩০ জুন পর্যন্ত ভ্যানরিকশায় ড্রামে করে ওই সব গ্রামে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে বাসিন্দাদের কথা ভেবে শুক্রবার থেকে আরও এক সপ্তাহ ওই ভাবে জল পৌঁছে দেওয়া হবে।’’