আলোক কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র উমেশ পাঁড়। নিজস্ব চিত্র
ডেবরায় একই দিনে এক স্কুলছাত্রকে দু’বার করোনার টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের আলোক কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ওই ছাত্রের নাম উমেশ পাঁড়। আলোক কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র সে।
ছাত্রটির পরিবারের অভিযোগ সোমবার স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের করোনা টিকা দেওয়ার জন্য শিবির করা হয়েছিল। সেই শিবিরে টিকা নিতে গিয়ে এই বিপত্তি ঘটে। ওই ছাত্রের দাবি, শিবিরে টিকা দেওয়ার জন্য দু’টি কাউন্টার করা হয়েছিল।
ওই ছাত্রের কথায়, ‘‘টিফিনের সময় প্রথম কাউন্টারে তাকে টিকা দেওয়া হয়। সেখান থেকে বেরোনোর সময় অপর কাউন্টার থেকে আমার হাতে থাকা রশিদ দেখে জিজ্ঞাসা টিকা নিয়েছি কি না। আমি বলি হ্যাঁ নিয়েছি। তাঁরা ভাবেন আমি ভয়ে বলছি। তাঁরা আবার টিকা দিয়ে দেন।’’
এ নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিখিল মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই ছাত্রটি ভুলবশত দু’টি টিকা নিয়েছে। হাতে স্লিপ ছিল, টিকা নেওয়ার পরে বিশ্রামের জায়গায় না গিয়ে বাইরে ঘুরছিল। স্বাস্থ্য কর্মীরা তাকে ডাকলে আবার ভেতরে গিয়ে টিকা নিয়ে নেয়। পরে সে আমাদের বিষয়টি জানায়।’’ বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষকরা চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন। রাতেই তাকে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে।
এই ঘটনার পর থেকে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন উমেশের পরিবার। তার বাবা উত্তমকুমার পাঁড় বলেন, ‘‘ছেলের মুখ থেকে এই ঘটনা শোনার পর আমি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাঁরা চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং কয়েকটি ওষুধ খেতে দেন। আপাতত ছেলে ভাল আছে।’’
ওই ছাত্রকে মঙ্গলবার আবার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কোনও সমস্যা নেই বলেই প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। কিন্তু কেন এমন ভুল হল তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
এ নিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবনচন্দ্র হাঁসদা বলেন, ‘‘এক পড়ুয়াকে দু’বার টিকা দেওয়া হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। বিএমওএইচ-এর কাছ থেকেও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ওই পড়ুয়া সুস্থ রয়েছে। তবে ডেবরা হাসপাতালে ডেকে পাঠানো হয়েছে তার অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য।’’
তবে এই ঘটনার জন্য স্কুলকেই দায়ী করছে ছাত্রের পরিবার। তার বাবা বলেন, ‘‘ছেলের কিছু হলে স্কুল দায়ী থাকবে।’’