বিধ্বস্ত: দুর্ঘটনার পর পর্যটকদের গাড়ির দশা।
দিঘা যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক পর্যটক ও গাড়ির চালকের। জখম আরও তিনজন। তাঁরা কলকাতায় চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার দুপুরে দিঘা-কলকাতা ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে সাপুয়ার কাছে দুর্ঘটনায় পড়ে গাড়িটি। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন কলকাতা থেকে দিঘার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন শিয়ালদহ ডিভিশনের ১১ জন রেল কর্মী। দু’টি গাড়ির একটিতে ছ’জন এবং অন্যটিতে পাঁচজন ছিলেন। দ্বিতীয় গাড়িটিই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। মৃত্যু হয়েছে ওই গাড়ির চালক রমেশ যাদব (৩০) এবং রাজকুমার পাসোয়ান (২৭) নামে এক পর্যটকের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সাপুয়ায় পেট্রোল পাম্পের কাছে রাস্তায় একটি বাঁক রয়েছে। প্রথম গাড়িটি বেরিয়ে গেলও দ্বিতীয় গাড়িটি বাঁকের মুখে দুর্ঘটনায় পড়ে। উল্টো দিক থেকে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের একটি বাস দিঘা থেকে কলকাতার দিকে আসছিল। সেটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় পর্যটকদের গাড়িটির। বাসটি রাস্তার পাশে খাদে নেমে যায়। তবে বাসযাত্রীদের হতাহতের তেমন খবর নেই।
গাড়িটি একেবারে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চালক রমেশের। স্থানীয় বাসিন্দারা কোনও ক্রমে গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার করেন চার পর্যটককে। তাদের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই রাজকুমারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। বাকি তিন পর্যটক সঞ্জয় বসু, পুরুষোত্তম ঝা এবং সমৃদ্ধ পরিধার অবস্থাও সঙ্কটজনক। তাঁদের কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় রেফার করে দেওয়ায় হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। পেট্রোল পাম্পের কাছে বাঁকের মুখে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস ও গাড়ি আটক করেছে পুলিশ। তবে বাসের চালক পলাতক বলে পুলিশের দাবি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। ঘটনার পর জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণ যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যানজটে আটকে পড়ে বহু গাড়ি। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ দিনই বিকেলে হেঁড়িয়ার ঝিনুকখালিতে দিঘা যাওয়ার পথে একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে দোকানে ধাক্কা মারে। দোকানে কেউ ছিল না। গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আরোহীরা কেউ জখম হননি।