বাধা পেরিয়ে পরীক্ষা দুই হাইমাদ্রাসা ছাত্রীর

একজন পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর একজন পরীক্ষা চলাকালীন অসুস্থ হয়ে এসেছিল হাসপাতালে। তবে দু’জনের কেউই হাসপাতালে থেকে যায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:২৭
Share:

রুমা শী ও দুলহেনা খাতুন

একজন পথ দুর্ঘটনায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। আর একজন পরীক্ষা চলাকালীন অসুস্থ হয়ে এসেছিল হাসপাতালে। তবে দু’জনের কেউই হাসপাতালে থেকে যায়নি। ফের পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। হাইমাদ্রাসার দুই ছাত্রীর এমন হার না-মানা মনোভাবকেই কুর্নিশ জানাচ্ছেন শিক্ষকেরা। মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির মির্জা আজিবুর রহমানের কথায়, “একটা বাধা এসেছিল। তবে দু’জনেই সেই বাধা ডিঙিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। ইচ্ছে আর মনের জোর না থাকলে এটা সম্ভব হত না।”

Advertisement

গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে হাইমাদ্রাসা পরীক্ষা। শনিবার ছিল অঙ্ক পরীক্ষা। এ দিন সকালে খড়্গপুর গ্রামীণের মাতকাতপুরে পথ দুর্ঘটনা জখম হয় এক পরীক্ষার্থী দুলহেনা খাতুন। এলাহিয়া হাইমাদ্রাসার ওই ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল খড়্গপুরের লোহানিয়া হাইমাদ্রাসায়। পরিজনের মোটরবাইকে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়ার পথে মাতকাতপুরে আর একটি বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ছিটকে পড়ে চোট পায় দুলহেনা। তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করাতে হয়। খবর পেয়ে হাসপাতালে আসেন বাড়ির লোক। প্রাথমিক চিকিত্সার পরে খানিকটা সুস্থ বোধ করায় ওই ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কথা জানায়। চিকিত্সকেরা সম্মতি দিলে দুলহেনাকে নিয়ে যাওয়া হয় পরীক্ষাকেন্দ্রে। তাকে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। তারপর নির্বিঘ্নেই পরীক্ষা দিয়েছে দুলহেনা।

অন্য ঘটনাটি চন্দ্রকোনার। মহিষাগেড়্যা হাইমাদ্রাসার ছাত্রী রুমা শী-র পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল চন্দ্রকোনার ইসলামিয়া হাইমাদ্রাসা। এ দিন পরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎই বুকে ব্যথা শুরু হয় রুমার। শারীরিক সমস্যার কথা সে শিক্ষককে বলে। তাকে তক্ষুণি চন্দ্রকোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে কিছুটা ধাতস্থ হলে ফের পরীক্ষাকেন্দ্রে ফিরে এসে পরীক্ষা দেয় রুমা। অন্য একটি শ্রেণিকক্ষে তার পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। কিছুটা বাড়তি সময়ও দেওয়া হয়। রুমাও এরপরে নির্বিঘ্নেই পরীক্ষা দিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement