Jhargram

কোভিড রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছতে গোপীবল্লভপুরে বাইক অ্যাম্বুল্যান্স, সৌজন্যে দুই মাসতুতো ভাই

সোমবার বিকেল থেকেই বাইক অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পাওয়া যাবে গোপীবল্লভপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০২১ ২১:৩৭
Share:

নিজস্ব চিত্র

২০ বছর আগে বিএসএফ থেকে অবসর নিয়েছেন ৫৭ বছরের সত্যব্রত রাউত। অন্যদিকে ৩৯ বছরের মণিচাঁদ পানি প্রায় তিন বছর আগে ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়েছেন। সম্পর্কে মাসতুতো ভাই। বর্তমান করনো অতিমারি পরিস্থিতিতে হঠাৎই তাঁদের মাথায় চিন্তা আসে কী ভাবে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। ওড়িশা,কর্নাটকে কোভিড রোগীদের জন্য বাইক অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার কথা নেটমাধ্যমে পড়ে উদ্যোগী হন। গত একমাস ধরে বাইক অ্যাম্বুল্যান্স তৈরির কাজ শুরু করে দেন তাঁরা। আর রবিবার সেই কাজ শেষ হয়েছে।

সোমবার বিকেল থেকেই বাইক অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করবেন তাঁরা। ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লকে এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। বাইকের সঙ্গে আলাদা চাকা লাগিয়ে একজন রোগীকে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘেরা বাক্স করা হয়েছে। তার পিছনে ও সামনে লেখা রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। রয়েছে দু’জনের ফোন নম্বর। সোমবার হাতিবাড়ি মোড় থেকে এই পরিষেবা চালু করার কথা জানিয়েছেন সত্যব্রত রাউত। তিনি বর্তমানে গোপীবল্লভপুর এলাকায় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুব্রত রাউত উদ্বোধন করবেন এই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবার।

সত্যব্রত রাউত বলেন, ‘‘করোনা আক্রান্তদের এই পরিষেবা দেওয়া হবে। লকডাউন পরিস্থিতিতে এই পরিষেবা দেওয়া হবে দুই ব্লকের মানুষদের। করোনা পরিস্থিতি ছাড়াও আগামী দিনে এই বাইক অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু রাখার চিন্তাভাবনা রয়েছে। অনেক সময় করোনা আক্রান্ত বা করোনার উপসর্গ থাকা মানুষদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েন বাড়ির লোকেরা। তাছাড়াও অনেক ছোট রাস্তায় অ্যাম্বুল্যান্স ঢুকতে পারে না। তাছাড়া অনেকে ভাড়া দিতে পারেন না। তাদের পাশে দাঁড়াতেই এই উদ্যোগ।’’ মণিচাঁদ পানি বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই পরিষেবা দেওয়া হবে। বাইক অ্যাম্বুল্যান্স চালানোর জন্য এলাকার অনেক যুবক এগিয়ে আসছেন। প্রয়োজন হলে নিজেরাই ওই বাইক চালিয়ে রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যাবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement