মাকড়সার কামড়ে দুই শিশু জখম

দুই শিশুর পরিজনের দাবি, তাদের ট্যারান্টুলাই কামড়েছে। তবে তা সত্যিই ট্যারান্টুলার কামড় কিনা, নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেননি চিকিৎসকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৮ ০১:০৫
Share:

ফাইল চিত্র।

রোমশ মাকড়সার কামড়ে দুই শিশু জখম হয়েছে বলে দাবি করলেন পরিজনেরা। খড়্গপুর গ্রামীণের আলাদা গ্রামের বাসিন্দা ওই দুই শিশু মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দু’জনেরই শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “দুই শিশু ভাল আছে। খোঁজখবর নিয়েছি। উদ্বেগের কিছু নেই।’’

Advertisement

দুই শিশুর পরিজনের দাবি, তাদের ট্যারান্টুলাই কামড়েছে। তবে তা সত্যিই ট্যারান্টুলার কামড় কিনা, নিশ্চিত ভাবে বলতে পারেননি চিকিৎসকেরা। গিরীশচন্দ্রবাবুর বক্তব্য, “বড়সড় মাকড়সা দেখে অনেকেই ঘাবড়ে যাচ্ছেন। তবে আতঙ্কের কিছু নেই। সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।’’ একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ট্যারান্টুলার কামড়ে মৃত্যুর নজির নেই। ফলে, অযথা ভয়ের কিছু নেই।

মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছে বছর দুয়েকের দিয়া ভুঁইয়া এবং বছর আড়াইয়ের দিপালী চক্রবর্তী। দিয়ার বাড়ি খড়্গপুর গ্রামীণের সালুয়ার বড়াই গ্রামে, আর দিপালী জকপুরের বাসিন্দা। পরিজনেদের দাবি, রবিবার রাতে বাড়িতে খেলার সময় ডান পায়ে তাকে মাকড়সা কামড়ায়। বাড়ির উঠোনের কাছে মাকড়সাটি ছিল। সঙ্গে সঙ্গে পা ফুলে যায়। দিয়ার বাবা মুক্তিপদ ভুঁইয়া বলেন, “ট্যারান্টুলাই কামড়েছে। মাকড়সাটা খুব বড় ছিল। কামড়ানোর পরই মেয়ের পায়ে যন্ত্রণা শুরু হয়।’’ দীপালিকে মাকড়সা কামড়েছে গত শনিবার রাতে। ওই রাত থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছে সে। একটি ব্যাগের মধ্যে হাত ঢুকিয়েছিল ছোট্ট দীপালি। ওই ব্যাগের মধ্যে মাকড়সাটি ছিল এবং তার ডান হাতে কামড়েছে বলে বাড়ির লোক জানিয়েছেন। সোমবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল মেদিনীপুর মেডিক্যালে এসে জখম দুই শিশুর পরিজনেদের সঙ্গে কথা বলেছে।

Advertisement

গত দেড়- দু’সপ্তাহ ধরে ট্যারান্টুলা আতঙ্ক ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। একের পর এক এলাকায় রোমশ মাকড়সার খোঁজ মিলছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচেতনতা প্রচার শুরু হয়েছে জেলায়। প্রশাসন জানাচ্ছে, নোংরা, স্যাঁতসেঁতে জায়গায় এই মাকড়সা বাসা বাধে। জেলার এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, “বাড়ির কাছে আবর্জনা, জঞ্জাল, মজা পুকুর থাকলে তা পরিষ্কার রাখতে হবে। ছাদে বাগান থাকলে তা সাফ রাখতে হবে। জঞ্জাল জমতে দেওয়া যাবে না।’’

ট্যারান্টুলা থেকে বাঁচতে আগাম সতর্কতা হিসেবে কী করণীও তাও জানানো হচ্ছে প্রচারে। মেদিনীপুরের এক বনকর্তা বলেন, “কেরোসিন তেল মজুত রাখতে হবে। ট্যারান্টুলা দেখলে কেরোসিন তেল স্প্রে করে দিতে হবে। এই মাকড়সা সাধারণত শরীরের নরম জায়গায় কামড়ায়। মশারি টাঙিয়ে ঘুমোতে হবে।’’ ওই বনকর্তার সংযোজন, “জলের ধারের নরম মাটিও এই বিষাক্ত মাকড়সার পছন্দের বাসস্থান। শরীর এবং পা লোমে ঢাকা থাকে। উঁচু বাড়ির ছাদেও অনায়াসে উঠে পড়তে পারে। ফলে, বহুতলে যাঁরা থাকেন, তাঁদেরও সতর্ক থাকতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement