দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়ন ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর জয়া দাস নায়েকের। —নিজস্ব চিত্র।
গত মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারী ও সৌমেন মহাপাত্র পুরভোটের প্রার্থীদের নিয়ে এক সঙ্গে পথ হেঁটে দলের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের নিচু তলায় যে সেই বার্তা তেমন দাগ কাটতে পারেনি, তার প্রমাণ মিলল বুধবার। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে তমলুক পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে তৃণমূলের এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দিলেন দলেরই অন্য কর্মীরা।
ছবিটা ঠিক কেমন? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন সুব্রত রায়। তিনি ছিলেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডটি এ বার মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় তিনি ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়েছিলেন। বুধবার সেই ১৩ নম্বর ওয়ার্ডেই সুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর জয়া দাস নায়েক। জয়াদেবীর দাবি, “এলাকার বেশীরভাগ মানুষ আমাকে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছিলেন। কিন্তু দলের স্থানীয় কিছু নেতৃত্ব চক্রান্ত করে আমার বদলে অন্য একজনকে প্রার্থী করেছে। দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করলেও আমি তৃণমূলেই আছি।”
তৃণমূল প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার জন্য এ দিন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পুরসভার ৬ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কর্মীরাও। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী উপ-পুরপ্রধান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বুধবার মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন এলাকার পরিচিত তৃণমূল কর্মী অনিমেষ মিশ্র। ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী শম্পারানী বেরার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা শঙ্কর জানার স্ত্রী রুমা জানা। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী স্মিতা সামন্তের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর রীনা মান্না।
আর এভাবে দলের কাউন্সিলর ও কর্মীদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে তৃণমূলের তমলুক শহর সভাপতি দিব্যেন্দু রায় বলেন, “জয়াদেবী প্রার্থী হয়েছেন শুনেছি। তবে দলের তরফে তাঁকে বোঝানো হবে। আশা করি উনি মূলস্রোতে ফিরে আসবেন।”