মমতার কাছে ঘেঁষতে পারলেন না জেলা নেতারা

জঙ্গলমহল কাপের পুরস্কর বিতরণ ও জঙ্গলমহল উত্সবের সূচনা অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার। মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট স্কুলের মাঠের সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সোমবার বিকেলেই মেদিনীপুরে পৌঁছন মমতা। ছিলেন সার্কিট হাউসে। তবে অন্য বারের মতো দলের নেতা, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কারও সঙ্গেই দেখা করেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৩০
Share:

প্রায় ২৪ ঘণ্টা জেলায় কাটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সে ভাবে কথাই হল না তাঁর।

Advertisement

জঙ্গলমহল কাপের পুরস্কর বিতরণ ও জঙ্গলমহল উত্সবের সূচনা অনুষ্ঠান ছিল মঙ্গলবার। মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট স্কুলের মাঠের সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সোমবার বিকেলেই মেদিনীপুরে পৌঁছন মমতা। ছিলেন সার্কিট হাউসে। তবে অন্য বারের মতো দলের নেতা, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কারও সঙ্গেই দেখা করেননি। সার্কিট হাউসে গিয়েছিলেন দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, যুব সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি, জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ থেকে বিধায়ক আশিস চক্রবর্তী, দীনেন রায়রা। প্রথমে সার্কিট হাউসে ঢোকার পর্যন্ত অনুমতি মেলেনি। পরে সার্কিট হাউসে ঢোকার অনুমতি মিললেও কথা বলতে পারলেন না কেউ। দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী আগলে রাখলেন সকলকে।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৯টা নাগাদ হঠাত্‌ সার্কিট হাউসে হাজির হন দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সাংসদ মুকুল রায় এবং ডেরেক ও ব্রায়েন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কিছুক্ষণ বৈঠকও করেন। ঝটিতি বৈঠক সেরে সামান্য খাবার খেয়েই ফের বেরিয়ে পড়েন কলকাতার উদ্দেশ্যে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আশাও ক্ষীণ হতে থাকে। ধীরে ধীরে বাড়ি ফেরেন দলীয় নেতা ও বিধায়কেরাও।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে আর কেউ সার্কিট হাউসমুখো হননি। মুখ্যমন্ত্রীও ঠিক দুপুর ১টা ১০ মিনিটে মঞ্চে ওঠেন। পুরস্কার বিতরণ সেরে আড়াইটে নাগাদ বেরিয়ে যান পুলিশ লাইনের দিকে। সেখানেই ছিল কপ্টার। কপ্টার ওড়ার সময়ই টিভির পর্দায় ভেসে ওঠে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement