অন্য রকম বসন্তোৎসবে প্রস্তুত শাল-পিয়াল বন

বসন্ত উৎসবে পর্যটনের পালে হাওয়া লেগেছে জঙ্গলমহলেও! শান্তিনিকেতনের মতো ঝাড়গ্রামেও পর্যটকদের ঢল নামবে, আশায় স্থানীয়রা। রবিবার দোল।

Advertisement

কিংশুক গুপ্ত

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৭ ০১:১৯
Share:

উৎসব: দু’বছর আগে এ ভাবেই রঙে মেতেছিল ঝাড়গ্রাম। —ফাইল চিত্র।

বসন্ত উৎসবে পর্যটনের পালে হাওয়া লেগেছে জঙ্গলমহলেও!

Advertisement

শান্তিনিকেতনের মতো ঝাড়গ্রামেও পর্যটকদের ঢল নামবে, আশায় স্থানীয়রা। রবিবার দোল। উইকএন্ড ট্যুরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছেন বসন্ত উৎসবের শরিক হতে। ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজম সংস্থার উদ্যোগে প্রতি বছর দোলের দিনে ঝাড়গ্রাম শহরের রবীন্দ্রপার্কে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়। এ বার একটু বেশি।

রবিবার দোলের দিনে ঝাড়গ্রাম শহরে একই সঙ্গে দু’টি বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। রবীন্দ্রপার্কে ঝাড়গ্রাম ট্যুরিজম সংস্থার বসন্তোৎসব তো হবেই। এ বার তাদের পঞ্চম বর্ষ। সেই সঙ্গে কলকাতার ‘জঙ্গলমহল উদ্যোগ’ নামে আরও একটি সংস্থা অরণ্যশহরের ঘোড়াধরা পার্কে প্রথমবার বসন্ত উৎসবের আয়োজন করছে। দু’টি জায়গায় আদিবাসী লোকনৃত্য ও লোকগানের তালে পা মেলাবেন পর্যটকরা। আবিরে গুলালে রাঙা হবে সবুজ শালের আঙিনা।

Advertisement

মাস খানেক আগেই ওয়েব সাইট এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পর্যটকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল জঙ্গলমহলের বসন্তে। সাড়াও মিলেছে। এ বার দোলের আগে উইক এন্ড-এ ঝাড়গ্রাম শহর ও আশেপাশের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অতিথিশালা, লজ হোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছে। ফলে, চলতি সপ্তাহে কয়োকশো পর্যটককে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে লজ-হোটেলগুলি। জায়গা না পেয়ে হতাশ হচ্ছেন অনেকেই।

আরও পড়ুন: রাঁচীতে হোলির হটকেক মোদী-শাহ মুখোশ

গত বছর দোলের সময় বিধানসভা ভোট প্রক্রিয়া চলায় বসন্তোৎসব হয়নি। ভোটের জন্য সমস্ত লজ-হোটেলের দখল নিয়েছিল পুলিশ-প্রশাসন। এ বার তাই এমনিতেই আকর্ষণ বেশি। তার উপর সদ্য শেষ হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই পর্যটকের সংখ্যা এ বার অনেক বেশি হবে, মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

ঝাড়গ্রাম হোটেল ওনার্স ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন কর্মকার বলেন, “শান্তিনিকেতনের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। তবে পর্যটকরা তো সব সময়ই একটা বৈচিত্র্য খোঁজেন। সেই দিক থেকে শাল-পিয়ালে ভরা জঙ্গলমহলের সৌন্দর্য কোন অংশে কম নয়।” তাঁর দাবি, দোলের মরসুমে জঙ্গলমহলে পর্যটন ব্যবসা জমে উঠছে। আর একটা বসন্ত উৎসবের আয়োজন সেটা প্রমাণ করছে। মধুসূদনবাবু জানালেন, এ বার শুধুমাত্র দোলের দিনে ঝাড়গ্রাম শহরের লজ-হোটেল গুলিতে থাকবেন হাজার দেড়েক পর্যটক।

পর্যটকদের একাংশ আবার নিজের মতো করে অরণ্য-প্রকৃতির মাঝে আবির খেলতে আগ্রহী। তাই হাতিবাড়ির বনবাংলো, বেলপাহাড়ির বনবাংলোও অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছে। রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের এমডি সি মুরুগন বলেন, “সরকারি-বেসরকারি স্তরে ঝাড়গ্রামে পর্যটন পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ চলছে। আমরাও সরকারি স্তরে ঝাড়গ্রাম সম্পর্কে প্রচার চালাচ্ছি। সপ্তাহান্তিক ট্যুরে এ বার জঙ্গলমহলে প্রচুর লোকজন আসছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement