দিঘার সৈকতে। রবিবার নতুন বছরের প্রথম দিনে। নিজস্ব চিত্র
সমুদ্র সৈকতে হাঁটা কিংবা সমুদ্রে নেমে স্নান, বছরের প্রথম দিন এ সব উপভোগ করতে উপচে পড়লেন মানুষজন। ২০২২ -কে বিদায় জানিয়ে ২০২৩-কে স্বাগত জানাতে খামতি ছিল না একটুকু। একে নতুন বছরের প্রথম দিন, তার উপর রবিবার। একেবারে উৎসবের মেজাজে সৈকত শহর দিঘা, মন্জারমণি, তাজপুর থেকে কেলেঘাইস হলদি, রূপনারায়ণ নদের পাড়। সর্বত্রই মানুষের ভিড়ে ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই অবস্থা।
রবিবার বেলা যত গড়িয়েছে ততই ভিড় বেড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। শুধু সমুদ্র সৈকত নয়, গোটা দিঘাই যেন উৎসবের আনন্দে রঙিন হয়ে উঠেছিল। দিনভর সমুদ্রে নেমে চুটিয়ে স্নান, খাওয়া- দাওয়া, আড্ডার পাশাপাশি বিনোদনও ছিল ভরপুর। পর্যটকদের প্রচুর ভিড় হাসি ফুটিয়েছে দোকানদার থেকে ব্যবসায়ীদের মুখেও।
তবে করোনার ছায়া যে ফের ঘনাচ্ছে তার আঁচ পাওযা যায়নি উৎসবের ভিড়ে। কারও মুখে মাস্কের বালাই ছিল না। দেখা যায়নি সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার বালাই। নতুন করে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও করোনা বিধি জারি হয়নি দিঘায়। তাই করোনা মুক্তির স্বাদ নিয়ে পর্যটকেরা হই -হুল্লোড় আর আনন্দে মেতে উঠেছিলেন। দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বড়দিনে প্রায় সব হোটেল ফাঁকা ছিল। তবে শনিবার ও রবিবার দু’দিন সমস্ত হোটেলেই কমবেশি ভিড় ছিল।’’ তবে কোথাও কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন কাঁথির এসডিপিও সোমনাথ সাহা।
বছরের প্রথম দিনে হলদি নদী, রূপনারায়ণ নদের ধারে বনভোজনে মেতে ওঠেন প্রচুর মানুষ। গান-বাজনা থেকে খাওয়া-দাওয়া দেদার মজায় মেতে উঠতে দেখা গিয়েছে কচিকাঁচা থেকে প্রবীণদের।