অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রার দায়িত্বে নেই নন্দীগ্রাম বা হলদিয়ার কোনও নেতা। Sourced by the ABP
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রার দায়িত্বে নেই নন্দীগ্রাম বা হলদিয়ার কোনও নেতা। যা ঘিরে দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। পঞ্চম পর্যায়ে পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় রাত্রিবাস করবেন সাংসদ অভিষেক। সেই কর্মসূচির দায়িত্বে রাখা হয়েছে আট জন তৃণমূল নেতৃত্বকে। যার মধ্যে ছ’জন পূর্ব মেদিনীপুর এবং দু’জন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে মনোনীত। পূর্ব মেদিনীপুরের যে ছ’জনকে মনোনীত করা হয়েছে তাদের মধ্যে হলদিয়া বা নন্দীগ্রামের কোনও নেতার জায়গা হয়নি। তা নিয়ে শুরু হয়েছে দলের অন্দরে গুঞ্জন। তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই দুই এলাকায় দলের গোষ্ঠী কোন্দল এড়ানোর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূলের নেতৃত্ব।
তৃণমূল কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত হলদিয়া এবং নন্দীগ্রাম। গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে হলদিয়াতে একাধিকবার শহর তৃণমূলের সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে। তেমনই তমলুক আইএনটিটিইইউসি-র জেলা সভাপতিও একাধিকবার পাল্টেছে। ওই সব পরিবর্তণের ক্ষেত্রেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করেছে বলে দাবি তৃণমূল কর্মীদের একাংশের। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তাই কোনও পক্ষকেই চটাতে চাইছেন না রাজ্য নেতৃত্ব। বিরোধী বামেদের দাবি, তৃণমূল নিজের দলের নেতাদের বিশ্বাস করতে পারছে না হলদিয়া বা নন্দীগ্রাম এলাকায়। কারণ, সব এলাকার নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তবে এ বিষয়ে তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের। ফলে আমার পক্ষে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়।"