ব্যাঙ্কে তছরুপ, জেলে গিয়ে সিআইডির জেরা নেতাকে

মহিলা সমবায় ব্যাঙ্কে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে ধৃত মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা সুকুমার ভুঁইয়াকে মেদিনীপুর জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি-র একটি দল। শনিবার দুপুরে ঘন্টা খানেক সুকুমারবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৭ ০২:০৮
Share:

সুকুমার ভুঁইয়া।

মহিলা সমবায় ব্যাঙ্কে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে ধৃত মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা সুকুমার ভুঁইয়াকে মেদিনীপুর জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি-র একটি দল। শনিবার দুপুরে ঘন্টা খানেক সুকুমারবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে সুকুমারবাবু তদন্তকারী দলের সঙ্গে খুব একটা সহযোগিতা করেননি। অন্তত তদন্তকারী অফিসারদের তেমনই দাবি। বেশ কিছু প্রশ্নের মুখে তিনি চুপ ছিলেন। বেশ কিছু প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কয়েকটি ক্ষেত্রে তাঁর জবাব ছিল, ‘আমি ওই ব্যাঙ্কের কেউ নই। আমি কিছু জানি না।’

Advertisement

মেদিনীপুর শহরের বার্জটাউনে রয়েছে ‘মহিলা কো- অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি’। এই মহিলা সমবায় ব্যাঙ্কে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন সুকুমারবাবু। ধরা পড়ার পরে চারদিন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন এই তৃণমূল নেতা। পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষে শুক্রবারই তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। এ দিন দুপুরে মেদিনীপুর জেলে আসেন তদন্তকারী অফিসারেরা। ছিলেন মামলার তদন্তকারী অফিসার নীরেন ভট্টাচার্য। নীরেনবাবু অবশ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি। তবে সিআইডি-র এক কর্তা বলছিলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে উনি বেশ কিছু প্রশ্নের সদুত্তর দেননি। তবে তদন্ত দ্রুত গতিতেই এগোচ্ছে। নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। সে সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” সুকুমারবাবুকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় সিআইডি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে কাল, সোমবারই এ নিয়ে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে আবেদন জানানো হবে।

শুক্রবার বিকেলে মেদিনীপুরের ওই মহিলা সমবায় ব্যাঙ্কেও হানা দেয় সিআইডি-র একটি দল। সন্ধে পর্যন্ত দলটি ব্যাঙ্কে ছিল। ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন তদন্তকারী অফিসারেরা। গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়। কাল, সোমবার ফের ব্যাঙ্কে হানা দিতে পারে সিআইডি।

Advertisement

এই মহিলা সমবায় ব্যাঙ্কের দু’টি শাখা রয়েছে খড়্গপুর ও চন্দ্রকোনা রোডে। গ্রাহক সাড়ে চার হাজার। এই ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির সম্পাদিক মধুমিতা ভুঁইয়ার স্বামী সুকুমারবাবু। অভিযোগ, স্ত্রীকে সামনে রেখে ব্যাঙ্কের সব কিছু পরিচালনা করতেন সুকুমারবাবুই। খড়্গপুরের এক মহিলা গ্রাহকের অভিযোগ পেয়ে ১৪ মে গ্রেফতার করা হয় সুকুমারবাবুকে। পরে তদন্তভার নেয় সিআইডি। জানা গিয়েছে, তছরুপ হওয়া টাকার অঙ্ক প্রায় ১ কোটি ৩১ লক্ষ ৬০ হাজার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement