হলদিয়া বন্দর। —ফাইল চিত্র।
নতুন কোনও ঠিকা চুক্তি নয়। বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে কাজ করার দাবি জানিয়ে ফের সরব হল হলদিয়া বন্দরে কর্মরত কয়েকশো শ্রমিক। মঙ্গলবার বিকেলে হলদিয়া বন্দরের মূল প্রশাসনিক ভবন জওহর টাওয়ারের দরজায় তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত শ্রমিকেরা।
বন্দর প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন দীর্ঘক্ষণ আধিকারিক-সহ অন্য কর্মচারীরা টাওয়ারের ভিতরে আটকে রখেন বিক্ষোভকারীরা। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হন বন্দর কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ উভয় পক্ষের আলোচনায় রফাসূত্র মেলায় ঘেরাও মুক্ত হন বন্দরের আধিকারিকেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ঠিকা শ্রমিক বলেন, ‘‘ফেব্রুয়ারিতে কাজের ঠিকা চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে অস্থায়ী ঠিকা শ্রমিক হিসাবে কাজ করছি। বন্দরের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করে কাজ করতে চাই। এতে বন্দরের স্থায়ী কর্মীদের মত বেশ কিছু সুবিধে মিলবে।’’ উল্লেখ্য, হলদিয়া বন্দরে মোট ৮৩৫ জন অস্থায়ী ঠিকা শ্রমিক এবং ১০০ জন সিকিউরিটি গার্ড কাজ করেন। এঁরা সকলেই সরাসরি বন্দরের সঙ্গে চুক্তি ভিত্তিতে কাজ করার পক্ষে আগ্রহী।
এদিন কলকাতা বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান জি সেন্থিলভেলের উপস্থিতিতে জরুরি বৈঠক হয়। আলোচনা শেষে বন্দরের ট্রেড ইউনিয়ন নেতা তথা হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামলকুমার আদক বলেন, ‘‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শ্রমিকদের দাবি পূরণ করার আশ্বাস দিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া বেতন জটও কেটে যাবে বলে আশাবাদী।’’
বৈঠকের পরে গোটা ব্যাপারে হলদিয়া বন্দরের প্রশাসনিক ম্যানেজার অমলকুমার দত্ত বলেন, ‘‘কোনও শ্রমিক কাজ হারাবেন না। শ্রমিকদের সুবিধে-অসুবিধে খতিয়ে দেখে বন্দরের ট্রাস্টি বোর্ড যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।’’