বেলদা থানা এলাকার দাঁতন-২ ব্লকের সাবরায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ উঠল মঙ্গলবার রাতে। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় তৃণমূল তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বাবুল খান এবং জেলা কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরি গোষ্ঠীর। বুধবার রাতে বাবুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর লোকেরা অন্য গোষ্ঠীর উপর চড়াও হলে উত্তেজনা ছড়ায়। মারধরে জখম হন শেখ সামশাদ নামে এক তৃণমূল কর্মী। এর পরেই শুরু হয় বোমাবাজি। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ঘটনায় দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছে।
বেলদার এই সাবড়া এলাকায় মাঝেমধ্যেই বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। গত ১৮ মার্চ স্থানীয় মুক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন এলাকা থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল। এর পরে গত ৫ মে সেই জমি দখলকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গোলমালে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্থানীয় মুক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অদূরে তৃণমূলের জেলা কর্মাধ্যক্ষ শৈবাল গিরির ঘনিষ্ঠ বসির খানের একটি পারিবারিক জমি ছিল। তবে বছর কয়েক আগে ওই জমির একাংশ খাস হয়ে যায় বলে স্থানীয়দের দাবি। তার পরেও ওই জমি কয়েক জন দখল করলে মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। জবরদখলকারীদের পক্ষ নিয়ে এগিয়ে আসেন পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বাবুল খান। গোলমাল বাধে বাবুল ও বসিরের। সম্প্রতি ওই জমিতে দখল থাকা ৯ জনের নামে পাট্টা হয়ে যাওয়ায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ ওই জমি নিয়েই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বাধে। রাত বাড়তেই বাড়ে গোলমাল। বিষয়টি গড়ায় হাতাহাতি পর্যন্ত। তার পরেই চলে বোমাবাজি। জবরদখলের প্রসঙ্গটি জানিয়ে বাবুল বলেন, “কারা বোমাবাজি করেছে তা জানিনা।” গোটা ঘটনায় অবশ্য অত্যন্ত ক্ষুব্ধ শৈবাল গিরি। তিনি জানিয়েছেন, মিথ্যে অভিযোগ করছেন বাবুল। তিনি কখনওই কাউকে জমির দখল নিতে বলেননি। শৈবালবাবুর কথায়, “বাবুল খান অবৈধ ভাবে কয়েকজনের পাট্টার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এখন এলাকা দখল করতে বাবুল খান আঁতলা গ্রামের দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে বোমাবাজি করছে। এক জনকে মেরে জখম করেছে।”
বিষয়টি নিয়ে খড়্গপুরের এসডিপিও সন্তোষ মণ্ডল বলেন, “একটি বোমাবাজির অভিযোগ এসেছে। আমরা ওই ঘটনায় মামলা রুজু করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে বাবুল খানকে।”