জেতার পর। তমলুকে গণনাকেন্দ্রের বাইরে।
এটাই প্রত্যাশিত ছিল। ফের কাঁথি পুরসভার ২১টি আসনের সবকটিতেই জিতে পরপর টানা তিনবার বিরোধীশূন্য পুরসভা গড়ার নজির তৈরি করল তৃণমূল। ২১টি আসনের মধ্যে দু’টিতে আগেই জয় পেয়েছিলেন অধিকারী বাড়ির দু’ভাই বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী ও পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী। বাকি ১৯টি আসনের ভোটের লড়াইয়ের ফলও তৃণমূলের ঝুলিতে গেল।
মঙ্গলবার কাঁথির পুরভোট গননা শুরু হতেই প্রথম রাউন্ড থেকেই ১৯টি ওয়ার্ডেই তৃণমূলের প্রার্থীরা বিরোধী প্রার্থীদের থেকে অনেক বেশি ব্যবধানে এগিয়ে যেতে থাকেন। দিনের শেষে সেই ব্যবধান ক্রমশ বেড়েছে। তৃণমূল নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাঁথি শহরে বিজয় মিছিল করেনি তৃণমূল। কাঁথি পুরসভায় তৃণমূলের এই জয়কে ‘মানুষের জয়’ বলেই উল্লেখ করেন কাঁথির পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের এই জয়কে কাঁথিবাসীকেই উৎসর্গ করেন পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী।
জয়ের মুখ। মঙ্গলবার কাঁথির গণনাকেন্দ্রের বাইরে।
কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী ও সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিংহ কাঁথি পুরসভায় তৃণমূলের এই বিরোধীহীন জয়লাভকে গনতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন। তাপসবাবুর কথায়, “চাপা সন্ত্রাস আর আতঙ্কের আবহ তৈরি করে মানুষকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোট বা মতদানের বদলে তৃণমূলকেই ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক।” বাম আমলেও তো কাঁথিতে টানা দু’বার বিরোধীশূন্য পুরসভা গঠন করেছিল তৃণমূল? তাপসবাবুর কথায়, ‘‘বাম জমানায়রাজ্যে গণতন্ত্র ছিল। গনতান্ত্রিক পরিবেশে শাসকের বিরুদ্ধে বিরোধী দলকে ভোট দিতে পেরেছিল মানুষ। এখন সেই অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’’ বিজেপির জেলা সম্পাদক ও কাঁথি পুর ভোটের ভারপ্রাপ্ত নেতা সোমনাথ রায় বলেন, “মানুষ এখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিশেষ করে কাঁথির অধিকারী বাড়ির বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে ভয় পায়।’’
বিরোধীদের যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে কাঁথির তৃণমূল বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “কাঁথির মানুষ শান্তি সম্প্রীতি আর উন্নয়নের স্বার্থেই তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা। কাঁথির মানুষই তাতেই রায় দিয়েছেন।”
ছবি: সোহম গুহ।