—প্রতীকী চিত্র।
রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচা। ভোটের তিন দিন আগেও উত্তেজনা প্রশমনের নামগন্ধ নেই ওই এলাকায়। এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগে তীব্র হল রাজনৈতিক চাপানউতর।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পর থেকে যখন তখন বোমা, গুলি, খুন, সন্ত্রাসের জেরে খবরের শিরোনামে থেকেচে বাকচা। পঞ্চায়েতের ভোটের আগেই জারি রয়েছে সেই পরিস্থিতি। মঙ্গলবার রাতে বাকচার গোরবাদন গ্রামের বাসিন্দা গোপাল সামন্ত নামে এক তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে হামলার মুখে পড়েন গোপাল। তাঁকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম হন তৃণমূলের ওই কর্মী। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ভাল চিকিৎসার জন্য তমলুকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার পরেই শুরু হয়েছে দুই দলের তরজা।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা রাজীব পাঁছারি বলেন, “গোপাল তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। রাতে তাঁকে রাস্তায় একা পেয়ে বিজেপির লোকেরা হামলা চালিয়েছে। ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে।’’ তৃণমূল নেতার অভিযোগ, “গায়ের জোরে বাকচা এলাকার দখল নিতে মরিয়া বিজেপি। সুযোগ পেলেই তারা তৃণমূলের উপর হামলা চালাচ্ছে। কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করছে।’’ যদিও শাসকদেলর এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি আশিস মণ্ডলের কথায়, “গোটা বাকচা অঞ্চল জুড়ে তৃণমূলের হার্মাদরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। একের পর এক বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানো হচ্ছে। মারধর করা হচ্ছে। আমরা এলাকার মানুষদের আহ্বান জানাচ্ছি, তাঁরা যেন একজোট হয়ে এই হামলা প্রতিহত করেন।’’ অন্য দিকে, তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘এই পঞ্চায়েত ভোটেই মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।’’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে ময়না বিধানসভায় জয়ী হয় বিজেপি। তার পর থেকে গত দু’বছর ধরে যখন তখন শাসক-বিরোধীর গন্ডগোলে উত্তপ্ত এলাকা।