স্ত্রী নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। তাই দল থেকে বহিষ্কৃত হলেন তমলুকের দুই তৃণমূল নেতা। একই ভাবে বহিষ্কৃত হয়েছেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলরও।
তমলুকের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী সুফিয়া বেগমের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন তৃণমূল যুব নেতা বিশ্বনাথ হাজরার স্ত্রী সুস্মিতা হাজরা অন্যদিকে পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী শম্পারানি বেরার বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছেন তৃণমূল নেতা শঙ্কর জানার স্ত্রী রুমা জানা। অন্য দিকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর জয়া দাস নায়ক এ বার দলীয় প্রার্থী সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করছেন।
তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার জানান, ‘‘পুরসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়া ও প্রার্থী দেওয়ার অভিযোগে দলের পদাধিকারী তিন জনকে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশিকা অনুযায়ী দল বিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট তমলুক পুরসভা নির্বাচনে এ বার এককভাবে সব আসনে লড়াই করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। কিন্তু তৃণমূলের দলীয় প্রার্থী হতে চেয়ে বেশ কিছু ওয়ার্ডে একাধিক দাবিদার হওয়ায় স্থানীয় ভাবে দলের কর্মীদের নিয়ে আলোচনা করে প্রার্থী স্থির করা হয়। দলীয় প্রতীক নিয়ে পুরসভার সব ওয়ার্ডে প্রার্থী দেয় তৃণমূল। কিন্তু এরপর পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে তৃণমূলের দলীয় প্রার্থী হতে না পারা বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা-কর্মী বিক্ষুদ্ধ হয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছেন। আবার কেউ নিজের পরিবারের কোনও সদস্যকে নির্দল বা অন্যদলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন।
তমলুক পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে দলের বিক্ষুব্ধরাই। পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে তাঁরা তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে জোরদার প্রচারও শুরু করেছেন। ফলে চরম অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। পরিস্থিতি সামাল দিতে দলের তমলুক শহর নেতারা এইসব বিক্ষুদ্ধদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৃণমূলের জেলা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে অভিযোগ জানায়। এরপর রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশিকা অনুযায়ী দলের যে সব পদাধিকারী তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাঁদের চিহ্নিত করেছে জেলা নেতৃত্ব।
তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক ও বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি জানান, ‘‘তমলুক পুরসভায় দলের যে সব কাউন্সিলর বা যাঁরা বর্তমানে পদে রয়েছেন বা আগে পদে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজন এ বার তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন। অথবা প্রার্থী দিয়ে লড়াই করছেন। দল বিরোধী কাজের জন্য তাঁদের দল থেকে বহিষ্কােরর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’