যার-জন্য: পড়ে থাকা এই মাটিই দুর্ঘটনার মূলে। নিজস্ব চিত্র
চার লেনের ঝকঝকে রাস্তা। কোথাও খানাখন্দ নেই। অথচ সেই রাস্তাই দু’শ্চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে যাত্রী থেকে যানচালক সকলের।
হলদিয়ার শিল্প তালুকের সিটি সেন্টার থেকে মঞ্জুশ্রী যাওয়ার ৬ কিলোমিটার রাস্তার দু’ধারে একাধিক শিল্পসংস্থা রয়েছে। চার লেনের এই সড়কের দু’দিকে দু’টি শিল্পসংস্থায় কোথাও মাটি ভরাটের কাজ চলছে। কোথাও মাটি তুলে অন্যত্র ফেলা হচ্ছে। নিত্য মাটি বোঝাই ডাম্পারের আনাগোনা ওই দুই সংস্থায়। আর সেটাই মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রী ও যানচালকদের। কারণ ডাম্পারে করে মাটি অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় বা অন্য জায়গা থেকে আনার সময় তা ঠিকমতো ঢাকা না দেওয়ার ফলে গাড়ির ঝাঁকুনিতে রাস্তায় পড়ছে। বর্ষার বৃষ্টিতে সেই ছড়িয়ে থাকা মাটি গলে পিচ্ছিল করে দিয়েছে সড়ক। ফলে গাড়ির চাকা পিছলে ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে কয়েকটি দুর্ঘটনা।
এই সড়কেই অটো চলাচল করে। দিন কয়েক আগে যাত্রী বোঝাই একটি অটোর সঙ্গে একটি গ্যাস ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষে দুমড়ে যায় অটোটি। অটোর পাঁচ যাত্রী গুরুতর জখম হন। তাঁদের হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। পিচ্ছিল রাস্তায় চাকা পিছলে বাইক উল্টে দুর্ঘটনাও ঘটছে অহরহ। প্রতি ক্ষেত্রেই চালকেরা দায়ী করেছেন রাস্তায় পড়ে থাকা এঁটেল মাটিকে। তাদের অভিযোগ, বৃষ্টিতে মাটি পড়ে রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলাতেই দুর্ঘটনা ঘটছে। অথচ এ সব বন্ধ করতে কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাঁদের আরও অভিযোগ, দিনের বেলায় তবু রক্ষে। কিন্তু রাতে, একে সড়কে আলো নেই তার উপর রাস্তার এমন অবস্থা দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিক্ষোভ: দাবি আদায়ে রাস্তায়। শুক্রবার নিজস্ব চিত্র
সমস্যার কথা স্বীকার করেছে হলদিয়া মহকুমার পুলিশও। এই শিল্প তালুক ভবানীপুর থানা এলাকার মধ্যে পড়ে। থানার ওসি জানান, বৃষ্টি পড়লে ওই রাস্তায় বাইক চালানো সত্যিই সমস্যার। দুর্ঘটনাও ঘটছে। ওই দুটি শিল্পসংস্থায় কর্মরত ঠিকাদার সংস্থাকে চিঠি দিয়ে রাস্তায় পড়া মাটি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। হলদিয়ার এসডিও পূর্ণেন্দু নস্কর বলেন, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় এভাবে কাদা মাটি পড়ে থাকায় যাত্রীদের ও যানচালকদের সমস্যা হচ্ছে। দুই শিল্পসংস্থাকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাস্তায় এভাবে মাটি ফেলে নাগরিকের সমস্যা করা যাবে না।’’
হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে এই রাস্তাটি তৈরি হয়েছে। পর্ষদের সিইও উজ্জ্বল সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘রাস্তায় এভাবে কাদা মাটি ফেলে রাখা ঠিক নয়। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।