KMC ELECTION 2020

ভোটের মুখে পরচা বিলি

এ দিন মেদিনীপুর শহরে কালেক্টরেটের সভাকক্ষে প্রতীকী ভাবে ৫০টি পরিবারকে জমির পরচা দেওয়া হয়েছে। ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলাশাসক রশ্মি কমল, অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) উত্তম অধিকারী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অম্লানকুসুম ঘোষ, মহকুমাশাসক (সদর) দীননারায়ণ ঘোষ, প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রণব বসু প্রমুখ। জেলাশাসক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমরা এই খসড়া পরচা বিলি করছি।’’ মন্ত্রীর দাবি, ‘‘এই পদক্ষেপের ফলে দুই শহরের বহু মানুষ জমির অধিকার ফিরে পাচ্ছেন।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২০ ০৪:৩০
Share:

দেওয়া হচ্ছে জমির পরচা।

পুরসভা ভোটের আগে দীর্ঘদিনের জমি সমস্যার সুরাহা হতে চলেছে। খাসমহল বলে পরিচিত মেদিনীপুর শহরের চারটি এবং খড়্গপুর শহরের একটি মৌজার জমির পরচা (রায়তি স্বত্ব) দেওয়া শুরু হল। প্রশাসন সূত্রে খবর, আগেও দু’দফায় ওই মৌজাগুলির বেশ কয়েকটি পরিবারকে জমির পরচা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ফের পরচা দেওয়া শুরু হল।

Advertisement

এ দিন মেদিনীপুর শহরে কালেক্টরেটের সভাকক্ষে প্রতীকী ভাবে ৫০টি পরিবারকে জমির পরচা দেওয়া হয়েছে। ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলাশাসক রশ্মি কমল, অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) উত্তম অধিকারী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অম্লানকুসুম ঘোষ, মহকুমাশাসক (সদর) দীননারায়ণ ঘোষ, প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রণব বসু প্রমুখ। জেলাশাসক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী আমরা এই খসড়া পরচা বিলি করছি।’’ মন্ত্রীর দাবি, ‘‘এই পদক্ষেপের ফলে দুই শহরের বহু মানুষ জমির অধিকার ফিরে পাচ্ছেন।’’

প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ওই পাঁচটি মৌজায় সমীক্ষা চালানো হয়েছে। দেখা গিয়েছে ওই মৌজাগুলির ১,৬৬৯.০৭ একর জমিতে সবমিলিয়ে ১০,৮৯১টি পরিবার বসবাস করছে। এরমধ্যে ৯,২৭৭টি পরিবারকে জমির পাট্টা ও ৫২৩টি পরিবারকে জমির লিজ দেওয়া হবে।

Advertisement

মেদিনীপুরের ওই চারটি মৌজা হল যথাক্রমে কর্ণেলগোলা, চাঁদিয়ানাবাজার, বাড়পাথর ক্যান্টনমেন্ট এবং কেরানিতলা। আর খড়্গপুরের মৌজাটি হল খাসজঙ্গল। বস্তুত, জমি খাস হয়ে যাওয়ায় ওই মৌজাগুলির লক্ষাধিক সংখ্যক মানুষ বিপাকে পড়েছিলেন। ওই ১৬৬৯.০৭ একর জমি রায়ত থেকে খাস হয়ে যাওয়ায় মিউটেশন, জমি কেনাবেচা থেকে ঘরবাড়ি তৈরি সবই বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৪৫ সালে এই পাঁচটি মৌজার জমি ৩০ বছরের জন্য স্থানীয়দের লিজে দেওয়া হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে সেই লিজের মেয়াদ ফুরোয়। আর নতুন করে লিজ দেওয়া হয়নি। গত বছর জেলা সফরে এসে এই সমস্যার কথা জেনে দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়।

প্রশাসনের এক সূত্র জানাচ্ছে, যে সব পরিবার এই জমির দখল নিয়ে রয়েছে, তাদের নামে এ বার সরকার জমির মালিকানার কাগজপত্র তৈরি করে দিচ্ছে। একেই রায়তি স্বত্ব বলা হয়। তবে বাসিন্দাদের ১৯৭৫ সাল থেকে খাজনা মিটিয়ে দিতে হচ্ছে। খাজনা মেটানোর শর্তেই জমির রায়তি স্বত্ব দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই সূত্র জানাচ্ছে, ওই মৌজাগুলির বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা হচ্ছে। নাম নথিভুক্তি হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে।

অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) উত্তম অধিকারী জানান, ২৪ মার্চ থেকে এলাকা ধরে পর্যায়ক্রমে পরচা দেওয়া হবে। কোন মৌজার পরিবারকে কবে পরচা দেওয়া হবে তা বিজ্ঞপ্তি আকারে জানিয়ে দেওয়া হবে। দফতরের নোটিস বোর্ডেও ওই বিজ্ঞপ্তি থাকবে। নিজস্ব চিত্র

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement