তেলিয়া ভোলা মাছ। —নিজস্ব চিত্র।
দিঘা মোহনার পাইকারি বাজারে চড়া দামে বিকোল একঝাঁক তেলিয়াভোলা। বুধবার তেলিয়াভোলার বাজারদর উঠল প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। এর জেরে রাতারাতি লক্ষ্মীলাভ হল মৎস্যজীবিদের। ওড়িশা থেকে এক মৎস্য ব্যবসায়ী দিঘা মোহনার পাইকারী বাজারে এই মাছ বিক্রি করতে আসেন। মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, বড় আকারের তেলিয়াভোলা সাধারণত গভীর সমুদ্রেই পাওয়া যায়। এই মাছের বিশেষ প্রত্যঙ্গের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিশ্বের বাজারে। তাই এই মাছের বাজারদর বেশ চড়া।
বুধবার বেলার দিকে ওড়িশার থামরা থেকে ন’টি বিরাট আকারের তেলিয়াভোলা আসে দিঘার বাজারে। মাছগুলির প্রতিটিই আকারে প্রায় ২৫-৩০ কেজি। দিঘার জিকেডি আড়তে মাছগুলি নিলামে তোলা হয়। নিলামে যার কেজি প্রতি সর্বাধিক দাম ওঠে ৩১ হাজার টাকা। ইলিশের মন্দার বাজারে এমন সুন্দর গড়নের তেলিয়াভোলা পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশির হাওয়া মৎস্যজীবীমহলে।
দিঘা ফিসারম্যান অ্যান্ড ফিস ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান নবকুমার পয়ড়্যা বলেন, ‘‘তেলিয়াভোলার পোঁটা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত হয়। সমুদ্রে দল বেঁধে থাকা এই মাছ মাঝেমধ্যেই মৎস্যজীবিদের জালে উঠে আসে। এই মাছের বাজারদর নির্ভর করে পুরুষ না কি মহিলা, তার উপর। সেই সঙ্গে মাছের ওজন যত বেশি, কেজি প্রতি দরও তত বেশি হয়। তেলিয়াভোলা কেজি প্রতি ৫-৩০ হাজার টাকা। পুরুষ মাছের পোঁটার দাম সব থেকে বেশি। বুধবার যে মাছগুলি বাজারে এসেছে, সেগুলি আকারে বড় ও পুরুষ মাছ হওয়ায় দামও অনেকটাই বেশি মিলেছে।’’
তবে ওড়িশা ছেড়ে মাছগুলি দিঘার বাজারে কেন, জানতে চাওয়ায় মৎস্যজীবিরা জানিয়েছেন, এশিয়ার বৃহত্তম মাছের পাইকারি বাজার হল দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্র। যেখান থেকে মাছ রফতানি হয় দেশ-বিদেশের বাজারে। তাই এই বাজারে মাছের পাইকারী দর অনেকটাই বেশি পাওয়া যায়। এই কারণে দিঘা ও আশপাশের এলাকার পাশাপাশি পড়শি রাজ্য ওড়িশা থেকেও মাছ দিঘার বাজারে নিয়ে আসা হয়। বুধবার তেলিয়াভোলার কেজি প্রতি সর্বোচ্চ দাম প্রায় ৩১ হাজার টাকায় পৌঁছেছে, যা এক কথায় রেকর্ড।’’