প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের পোশাক দেওয়ার জন্য সরকারি অর্থ বরাদ্দ হয়েছে অনেক দিন। তবে সেই পোশাক থেকে বাদ পড়েছে শিশু শ্রেণির পড়ুয়ারা। চলতি বছরে শিশু শ্রেণির পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির পড়ুয়ারাও সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন শিক্ষক- শিক্ষিকারা। ফলে একই প্রাথমিক স্কুলে পড়া ওই দুই শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের প্রশ্নের মুখে অস্বস্তিতে পড়তে হবে বলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পোশাক দেওয়ার অর্থ বরাদ্দ করে সর্বশিক্ষা মিশন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের প্রকল্প আধিকারিক সুমন বিশ্বাস বলেন, ‘‘প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পোশাক দেওয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়। এ জন্য গত ২০১৬ সালের শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক পড়ুয়াদের পোশাক দেওয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দ পেতে দেরি হওয়ায় সম্প্রতি তা বন্টন করা হয়েছে। তাই ওই সময়ের প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের পোশাক দেওয়া হবে। এতে চলতি শিক্ষাবর্ষের প্রথম শ্রেণির পড়ুয়াদের পোশাক আপাতত দেওয়া যাচ্ছে না। তবে অর্থ বরাদ্দ হলেই দ্রুত তা দেওয়া হবে।’’
প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ ও সর্ব শিক্ষা মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী পিছু দু’সেট জামা-প্যান্ট কেনার জন্য ৪০০ টাকা করে বরাদ্দ করে সর্ব শিক্ষা মিশন। প্রতি শিক্ষা বর্ষের মধ্যে সাধারণভাবে দুর্গাপুজোর আগে টাকা বরাদ্দ করে স্কুলে স্কুলে দেওয়া হত। কিন্তু গত ২০১৬ সালের শিক্ষাবর্ষে ওই সময় টাকা বরাদ্দ হয়নি। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক অরূপকুমার ভৌমিকের অভিযোগ, ‘‘শিশু শ্রেণির পড়ুয়াদের পোশাক না দেওয়ায় মানসিকভাবে আঘাত পাওয়ার পাশাপাশি প্রধান শিক্ষক–শিক্ষিকাদের খুব অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়। সব পড়ুয়াদের দ্রুত পোশাক দেওয়ার জন্য অর্থ বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।’’ বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক সতীশ সাহু বলেন, ‘‘সব পড়ুয়াদের পোশাক কেনার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে অর্থ বরাদ্দ করা হয় সে জন্য রাজ্য শিক্ষা দফতর ও সর্বশিক্ষা মিশনের কাছে দাবি জানিয়েছি।’’