প্রতীকী চিত্র
নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেন বিচারক।
বুধবার ঝাড়গ্রাম প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক সুদেষ্ণা দে চট্টোপাধ্যায় এই সাজা ঘোষণা করেন। বছর তেত্রিশের রুইয়া সরেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ৬০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন বিচারক। অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন তিনি। রুইয়ার বাড়ি নয়াগ্রামের শালপাতড়া গ্রামে।
সরকারি আইনজীবী সত্যজিৎ সিংহ জানান, ঘটনাটি ২০০৭ সালের ২৬ ডিসেম্বরের। নয়াগ্রাম থানার ভালুকতাড়া গ্রামে একটি মিশনারি আবাসিক স্কুলে পড়ত জামবনি থানা এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা। তার এক সম্পর্কিত বোনও পড়ত ওই স্কুলে। ঘটনার দিন বছর বারোর ওই ছাত্রীকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন রইয়া সরেন নামে ওই শিক্ষক। বিষয়টি জানাজানি হতে অভিযুক্ত শিক্ষক পালিয়ে যায়। কয়েকদিন পরে ছাত্রীর বাবা হস্টেলে মেয়ের সঙ্গে দেখা এলে সমস্ত ঘটনা জানতে পারেন। নয়াগ্রাম থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। ২০০৭ সালের ৩০ ডিসেম্বর রুইয়াকে শালপাতড়া গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নাবালিকা ও তার বোন গোপন জবানবন্দি দেয়। ২০০৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। পরে উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তী জামিনে ছাড়া পায় রুইয়া। ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল মামলাটি বিচারের জন্য ঝাড়গ্রাম জেলা দায়রা আদালতে চার্জগঠন করা হয়। দু’জন চিকিৎসক সহ ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রুইয়াকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। এ দিন সাজা ঘোষণা করেন তিনি। সরকারি আইনজীবী বলেন, “সাজা ঘোষণার সময় বিচারক জানান, শিক্ষকেরা ছাত্রছাত্রীদের পথ প্রদর্শক। কিন্তু এই শিক্ষকের জঘন্যতম আচরণের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়েছে।”