পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পরে এক স্বাস্থ্যকর্মীর ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হল রেল লাইনের ধার থেকে। রবিবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সর্ডিহা ও বাঁশতলা স্টেশনের মাঝে রেল লাইনের ধারে দেহটি পাওয়া হয়। রেল পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মহাবীর দাস (৪৮)। তিনি ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী ছিলেন। থাকতেন হাসপাতাল চত্বরের সরকারি আবাসনে। এ দিন ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পোশাক ও প্যান্টের পকেটে থাকা একটি কাগজ দেখে দেহটি মহাবীরবাবুর বলে শনাক্ত করেন তাঁর পরিজনরা। হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রের খবর, গত ১২ মে দুপুরে মহাবীরবাবুকে শেষ বারের মতো হাসপাতাল চত্বরে দেখা গিয়েছিল। সেদিন তাঁর নাইট ডিউটিও ছিল। তবে নাইট ডিউটিতে তিনি যান নি। পরদিন সকালে কোয়ার্টারেও ফেরেন নি। মহাবীরবাবু বাড়ি না ফেরায় পরিজনরা খোঁজ শুরু করেন। ১৪ মে ঝাড়গ্রাম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন মহাবীরবাবুর স্ত্রী গঙ্গাদেবী। মহাবীরবাবুর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজারে তাঁর কয়েক লক্ষ টাকা দেনা ছিল। প্রায়ই বাড়িতে পাওনাদাররা তাগাদা দিতে আসতেন। পরিজনদের অভিযোগ, টাকার জন্যই পাওনাদাররা তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে দেহটি রেল লাইনে ফেলে দিয়েছে। ঝাড়গ্রাম জিআরপি থানার ওসি রফিক খান, “এই মুহূর্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা সম্ভব নয়। ঘটনার তদন্ত চলছে।”