নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার দুই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাকি ১০টি কেন্দ্রে জিতেছে তৃণমূল। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
তমলুক ‘এগ্রিকালচার সোসাইটি’র নির্বাচনে সবুজ ঝড়! ভোট গ্রহণ হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ১২টি কেন্দ্রে। এর মধ্যে নন্দীগ্রামে সমবায়ের ভোটগ্রহণের সময় অশান্তির অভিযোগ উঠেছিল। রবিবার ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, কেবলমাত্র নন্দীগ্রাম বিধানসভা এলাকার দুই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাকি ১০টি কেন্দ্রে জিতেছে তৃণমূল। বিজেপির দাবি, ‘কারচুপি, সন্ত্রাস’ চালিয়ে জয়লাভ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, নন্দীগ্রামে ‘বোমাবাজি এবং সন্ত্রাস’ চালিয়ে বিজেপি জিতেছে। বাকি জেলায় তাই একটি আসনেও জেতেনি তারা।
সূত্রের খবর, নির্বাচনে তমলুক সমবায়ের ৬৯টি আসনের মধ্যে ৫৬টি আসনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়লাভ করেছেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি ১৩টি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি। বিজেপির সব আসনই এসেছে নন্দীগ্রামের ১ এবং ২ নম্বর ব্লক থেকে। জেলার অন্য প্রান্তে বিজেপি একটিও আসন পায়নি।
সমবায় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল প্রায় ৫৫ হাজার ৪৭১ জন। তমলুক ও হলদিয়া মহকুমা জুড়ে রয়েছে এই সমবায়। ভোট গ্রহণ হয়েছে রবিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয় ভোটগণনা। ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের সাতটি এবং ২নং ব্লকের সাতটির মধ্যে ছ’টি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি। এর বাইরে কোলাঘাটের চারটি, পাঁশকুড়ায় পাঁচটি, তমলুক পাঁচটি, শহিদ মাতঙ্গিনীতে দু’টি, সুতাহাটায় দু’টি, ময়নায় ১০টি, চণ্ডীপুরে ১১টি, মহিষাদলে চারটি, হলদিয়ায় দু’টি এবং নন্দকুমারে ১০টি আসনেই তৃণমূল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয়লাভ করেছে।
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম দখল নিতে প্রথম থেকেই মরিয়া ছিল তৃণমূল। নিয়ম ভেঙে বুথের কাছাকাছি ওরা ক্যাম্প করেছিল। আমাদের প্রতিবাদে তা সরাতে বাধ্য হয়। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে ক্রমাগত বোমাবাজি করে ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে নন্দীগ্রামের মানুষ সেই চেষ্টা রুখে দিয়েছে।’’