শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন সকলকে ‘অকাল দীপাবলি’ পালন করতে বললেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে খেজুরি-২ ব্লকের নিজকসবা এলাকায় শতাব্দী প্রাচীন গঙ্গোৎসবের সূচনা করেন শুভেন্দু। সঙ্গী হিসেবে স্থানীয় বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক এবং উত্তর কাঁথির বিধায়ক সুমিতা সিংহ উপস্থিত ছিলেন। আগামী লোকসভা ভোটের আগে এ রাজ্যেও বিজেপির 'বাজি’ যে অযোধ্যার রাম মন্দির, তা এ দিন স্পষ্ট করে দেন বিরোধী দলনেতা। মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন,"২২ তারিখ অকাল দীপাবলী উদযাপন করুন।"
দিন দু’য়েক আগে রামনগর থেকে ১৮ কুইন্টাল বেআইনি বাজি এবং বাজি তৈরির মশলা উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুভেন্দুর দাবি,"এ সব করে কোনওভাবেই কিছু আটকানো যাবে না। রামের নামে ঝড় বইবে। ভোকাল ফর লোকাল। আমি এক লক্ষ প্রদীপ কিনেছি। নন্দীগ্রামের কুড়ি হাজার মানুষকে সেই প্রদীপ তুলে দেব।" একইসঙ্গে শুভেন্দু আশ্বাস দেন, ‘‘খেজুরির গঙ্গা মন্দির এলাকার বিধায়ক এবং বিজেপির প্রতীকে জয়ী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় সংস্কার করা হবে।’’
আগামী দিনে পূর্ব মেদিনীপুরে 'রামের নামে সুনামির' ইঙ্গিতও দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বলেন,"রাম নামে ঝড় বইবে। সমুদ্রে সুনামি দেখেছেন। আমপান দেখেছেন তো! ২২ তারিখ আমপান আর সুনামি দেখবেন। রামের নামে সুনামি বইবে।"
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময়ে দলীয় কর্মসূচিতে শুভেন্দুর মুখে শোনা গিয়েছে,"তমলুক আর কাঁথিতে বিজেপি জিতবে।" তিনি দাবি করেছেন, তমলুক আর কাঁথি তিনি নরেন্দ্র মোদীকে উপহার দিতে চান। গত বিধানসভা ভোটে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে কাঁথি এবং তমলুক দু’টি আসনে এগিয়ে রয়েছে পদ্ম শিবির। জেলার ১৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটিতে জয়ী হয়েছে তারা। তবে পঞ্চায়েত ভোটের নিরিখে দু’টি আসনে অনেকটাই এগিয়ে ঘাসফুল শিবির। তাই অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার আবহে শুভেন্দু জেলা জুড়ে হিন্দুত্ব আবেগের ঝড় তুলতে চাইছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যদিও, শুভেন্দুর মুখে ‘রামের নামে সুনামি’র কথা প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পীযূষ কান্তি পণ্ডা বলছেন," ভগবান রামচন্দ্রকে বিজেপির নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে। মানুষ বুঝে গিয়েছে। ধর্মের জিগির তুলে লোকসভা ভোটের বৈতরণী পার হওয়া কঠিন। বরং মানুষের পেটে ভাত, হাতে কাজ আর পরনের পোশাক চাই। যা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি।"