ফাইল চিত্র।
সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে তাঁকে অলিখিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আখ্যা দিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পল্লি উন্নয়ন সঙ্ঘের এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পূর্ণাবয়ব মূর্তি উন্মোচন করেন শুভেন্দু। উপস্থিত ছিলেন একাধিক বিজেপি বিধায়ক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল।
এদিন সভা মঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন , ‘‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আত্ম নিপীড়িত স্বাধীনতা সংগ্রামের রূপকার ছিলেন। উনিই প্রথম ব্রিটিশের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। নেতাজি প্রথম অলিখিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। নেতাজিকে সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই দিনটিকে পরাক্রম দিবস ঘোষণা করেছেন।’’
তিনি আ ও বলেন, " নেতাজি যদি ভারতবর্ষের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হতেন তাহলে দেশের চেহারা বদলে যেত। পাল্টে যেত অবস্থা। দেশের মানুষ চাল ডাল আর ভাতা দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়াত না। নতুন ভারত তৈরি করতে পারতেন এ বিশ্বাস আমাদের সকলের আছে। আজ আমাদের শপথ দিতে হবে সুভাষচন্দ্র বসুর দেখানো পথে চলব। আগামী দিনে ভারত যেন বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারে তা প্রার্থনা করব। প্রধানমন্ত্রী রাজপথের নাম পরিবর্তন করে কর্তব্যপথ নামকরণ করেছেন। ওইখানে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন।’’ এর পরেই শুভেন্দু দাবি করেন, সুভাষচন্দ্র বসুর যে সম্মান প্রাপ্য ছিল এতদিন পরে সরকার তা দিয়েছে। বিগত দিনে একটা পরিবার দেশকে শোষণ ও শাসন করে গিয়েছে বলে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘প্রকৃত স্বাধীনতা যোদ্ধারা যেমন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলরা স্বীকৃতি লাভ করেননি।’’ গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে তাঁর জয় প্রসঙ্গে এদিন সভা মঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই সভা মঞ্চ থেকে রাজনীতির কথা বলব না। আপনারা অনেক প্রলোভন অপেক্ষা করে আপনাদের ঘরের ছেলেকে ভোটে জিতিয়েছেন।’’