গত বিধানসভা ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে থাবা বসিয়েছিল বিরোধীরা। চলতি বছরে জেলার দুই পুরসভা হলদিয়া ও পাঁশকুড়াতে জয়ের পরেও যে সেই অস্বস্তি কাটেনি তা কার্যত স্বীকার করে নিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘দক্ষিণ কাঁথি বিধাসভার উপ-নির্বাচনে যে হাওয়াটা তৈরি হয়েছিল বা তৈরি করা হয়েছিল অত্যন্ত বিচলিত অবস্থায় তার মোকাবিলা করতে হয়েছে। আমরা মোকাবিলা করেওছি।’’
রবিবার তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতি সৌধ প্রাঙ্গণে তৃণমূলের জেলা কমিটির বর্ধিত অধিবেশন ও বিজয়া সম্মিলনী উপলক্ষে দলীয় কর্মিসভায় শুভেন্দুবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী, দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক তথা রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘আপনাদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে যাতে বিভাজন সৃষ্টিকারী শক্তি কোনও রকম সুযোগ নিতে না পারে।’’
নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘গত বিধানসভা ভোটে জেলায় ১৬টি আসন পাইনি। আমাদের দুঃখ-যন্ত্রণা ছিল। তবে আমরা জেলায় ৫১ শতাংশ ভোট পেয়েছিলাম। যা রাজ্যে প্রাপ্ত ভোটের চেয়ে কিছুটা বেশি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘গত নভেম্বরে তমলুক লোকসভার উপ-নির্বাচনে প্রায় ৫ লক্ষ ভোটে জিতলাম। তমলুক, হলদিয়া ও পূর্ব পাঁশকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে ‘রিকভারি’ করে অনেক ভোটে এগিয়ে ছিলাম।’’
বাম-বিজেপি আঁতাত নিয়েও সরব হন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, ‘‘দক্ষিণ-কাঁথি কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে দেখলাম, যে সব বুথে বামপন্থীদের ট্র্যাডিশনাল ভোট ছিল সেখানেও বামেরা ৮, ৯, ১০, ১১ টি করে ভোট পেয়েছে। বামেদের অধিকাংশ ভোট রামে স্থানান্তর হয়েছে।’’ এ দিন পাঁশকুড়ার পুরুষোত্তমপুর বাজারে দলের কিসান-খেতমজুর সেলের সভায় উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দুবাবু, শিশিরবাবু ও বিধায়ক বেচারাম মান্না। যদিও পাঁশকুড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সম্পর্কে একটি কথাও বলেননি শুভেন্দু।