দুর্নীতি রোধে বক্সীর সতর্কবার্তা

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে মেদিনীপুরে এসে দলের সবস্তরের নেতা-কর্মীদের দুর্নীতি প্রসঙ্গে সতর্ক করে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:২৬
Share:

মেদিনীপুরে জেলা সম্মেলনের মঞ্চে তৃণমূল নেতৃত্ব। নিজস্ব চিত্র।

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে মেদিনীপুরে এসে দলের সবস্তরের নেতা-কর্মীদের দুর্নীতি প্রসঙ্গে সতর্ক করে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী। তাঁর বার্তা, ‘‘প্যাঁচে জড়িয়ে ফেঁসে গেলে ফেঁসেই থাকতে হবে। দল সেই ফাঁস ছাড়াবে না। আর দল যদি ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়, তখন পাশের বাড়ির লোকও আর কথা বলবে না। একাই থাকতে হবে।’’

Advertisement

শনিবার মেদিনীপুর শহরের কলেজ মাঠে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সুব্রতবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, প্রাক্তন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, দলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি প্রমুখ। ছিলেন দলের বিধায়ক, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা। সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুব্রতবাবু বলেন, “মনে রাখবেন, দলের দৃষ্টি রয়েছে সব দিকে। দল সময়ে সময়ে এ ধরনের সভা করে সতর্ক করে। আমি শুধু বলব, আপনারা সতর্ক থাকুন। তা সত্ত্বেও যদি প্যাঁচে জড়িয়ে পড়েন, তখন যদি বলেন আমাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপনাকে ফেঁসেই থাকতে হবে, বের করে দেওয়ার লোক থাকবে না।” গোষ্ঠীকোন্দল রোধের বার্তাও দিয়েছেন সুব্রতবাবু।

এ দিনের সম্মেলন থেকে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুরকে বিরোধীশূন্য করার ডাক দেন সুব্রতবাবু। পাশাপাশি এও দাবি করেন, ২০১৯ সালে মানুষই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লির মসনদে পৌঁছে দেবেন। তাঁর কথায়, “২০০৪ সালে দলের সাংসদ সংখ্যা ছিল ১, ২০০৯ সালে ১৯, ২০১৪ সালে ৩৪। বিভিন্ন রাজ্যে দলের কর্মসূচি চলছে। কে বলতে পারে, ২০১৯ সালে দলের সাংসদ সংখ্যা দু’শোতে পৌঁছবে না।” সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ দিন ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বাংলার মা’ বলে সম্বোধন করেন সবংয়ের বিধায়ক মানস ভুঁইয়া।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement