সভায় সুব্রতবাবুর সঙ্গে শিশির অধিকারী, অখিল গিরি প্রমুখ নেতারা।—নিজস্ব চিত্র।
দলের বর্ধিত সভায় এসেও শিউলি সাহাকে নিয়ে হাজারো প্রশ্নে বিব্রত হতে হল তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীকে। বৃহস্পতিবার দিঘার এক হোটেলে আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূলের ২১জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা ও দলের বর্ধিত সভার। মুখ্য বক্তা ছিলেন সুব্রতবাবু।
সভা সেরে বের হতেই সাংবাদিকরা প্রশ্ন শুরু করেন সদ্য সাসপেন্ড হওয়া বিধায়ক শিউলি সাহাকে নিয়ে। তিনি সাফ জানান, ‘‘শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শিউলি সাহাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাই তাঁকে প্রস্তুতি সভার বৈঠকে ডাকা হয়নি।” ঠিক কী ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গ? সে প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দেননি শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির অন্যতম সদস্য সুব্রত বক্সী। অন্য দিকে শিউলিদেবীকে সাসপেনশনের চিঠি দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘‘শিউলি সাহাকে যে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।”
সুব্রতবাবুর পাশে দাঁড়িয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী জানান, ‘‘দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিতে শিউলি সাহা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তার পরই দল থেকে তাকে সাসপেন্ড করা হয়। বৃহস্পতিবার দিঘায় দলের বর্ধিত সাধারণ সভাতেও শিউলি সাহার সাসপেন্ড হওয়ার সিদ্ধান্ত সর্ব সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।”
শিশিরবাবুর কটাক্ষ সাসপেন্ড-এর ঘটনায় জেলা সংগঠনে কোনও প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, “তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হচ্ছেন মিঠে আখ। আর সেই মিঠে আখকে অনেকেই ছিবড়ে করে খাওয়ার চেষ্টা করেছেন। ইনিও তাদের একজন। দল ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে।”
ছিলেন জেলার রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্য সৌমেন মহাপাত্র, জ্যোতির্ময় কর ও সুদর্শন ঘোষদস্তিদার। ২১ জুলাইয়ের সমর্থনে আগামী ১৬ জুলাই যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর যৌথ আহ্বানে মেছোগ্রামে দুই মেদিনীপুর জেলার কর্মীদের নিয়ে একটি বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সভায় জেলার সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদ-সহ পঞ্চায়েতের প্রশাসনিক ও দলীয় পদে থাকা কর্মীরা উপস্থিত থাকলেও তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী সভায় উপস্থিত ছিলেন না।