সৌরভ নন্দী। নিজস্ব চিত্র।
জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে যোগ দিতে মহারাষ্ট্রের বারামতী গেল গুড়গুড়িপাল হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সৌরভ নন্দী। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে এ বার এই একটি মাত্র স্কুলই জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে অংশগ্রহনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। শনিবার সৌরভের সঙ্গে মহারাষ্ট্র রওনা দিয়েছেন গুড়গুড়িপাল হাইস্কুলের সহ-শিক্ষক তথা সৌরভের প্রশিক্ষক সুশান্ত সাহু। গুড়গুড়িপাল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌতম ভৌমিক বলেন, “আশা করব, সৌরভের প্রকল্প জাতীয়স্তরে প্রশংসিত হবে।”
‘মানুষের স্বাস্থ্যের উপর তামাক জাতীয় দ্রব্যের ধ্বংসাত্মক প্রভাব’— এই বিষয়কে সামনে রেখে প্রকল্প করেছে সৌরভ। এলাকা ঘুরে বিভিন্ন পরিসংখ্যান, তথ্য, নমুনা সংগ্রহ করেছে। সেই সব দিয়ে সে দেখিয়েছে, তামাক জাতীয় দ্রব্য মানুষের কতটা ক্ষতি করে। সৌরভের কথায়, “তামাক সেবনের ফলে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। শরীরের বড় ক্ষতি হতে পারে।”
এর আগে জেলা এবং রাজ্যস্তরের শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে প্রশংসিত হয়েছে সৌরভের প্রকল্প। এ বার রাজ্য শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে বিভিন্ন জেলার ১৯৩টি স্কুল যোগ দিয়েছিল। তার মধ্যে ৩০টি স্কুল জাতীয়স্তরের প্রতিযোগিতায় যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই তালিকাতেই রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপাল হাইস্কুল। আগামী ২৭-৩১ ডিসেম্বর জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসের আসর বসবে।
মেদিনীপুরে স্কুল-কলেজের কাছেপিঠেই রয়েছে বহু বিড়ি-সিগারেটের দোকান। নাবালকরাও সেখান থেকে তামাকজাত জিনিস কেনে। প্রকাশ্যে চলে ধূমপান। বিপন্ন হতে বসেছে শৈশব। এক সময় মাদকের কারবার চলত লুকিয়ে-চুরিয়ে। এখন প্রকাশ্যেই এই কারবার চলে। দিনে-দুপুরে বসে নেশার ঠেক। এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুর গ্রামীণের এক স্কুল ছাত্র তামাকের ধ্বংসাত্মক প্রভাব নিয়ে যে ভাবে প্রকল্প তৈরি করেছে, তাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন অনেকেই। শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসের জেলা কো-অর্ডিনেটর মধুসূদন গাঁতাইতেরও। তাঁর কথায়, “আশা করব, সৌরভের হাত
ধরে জাতীয়স্তরে আমাদের জেলা সাফল্য পাবে।”