Street Lamp Out of Order

অকেজো পথবাতি, নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৪ ০৯:২৭
Share:

পথবাতি খারাপ। রাস্তা অন্ধকার। নিজস্ব চিত্র।

হাওড়া থেকে দিঘা রেলপথে পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন নন্দকুমার। নন্দকুমার বাজার থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে এই স্টেশনে যাতায়াতে প্রধান ভরসা হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের রেল গেট থেকে স্টেশন পর্যন্ত প্রায় আধ কিলোমিটার পাকা সড়ক। কিন্তু সেই সড়কেই পথবাতি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো বলে অভিযোগ। ফলে সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারে ডুবে যায় স্টেশনে যাতায়াতের ওই রাস্তা।

Advertisement

প্রতিদিন এক হাজারের বেশি যাত্রী হাওড়া, মেচেদা, দিঘা, কাঁথি সহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করেন এই স্টেশন থেকে। স্টেশনে নেমে বাড়ি ফেরার পথে কিংবা ট্রেন ধরতে অন্ধকার রাস্তা দিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। নিরাপত্তার সমস্যা হচ্ছে, বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের।

রেল দফতর সূত্রের খবর, এখানে দিঘা থেকে পাঁশকুড়া হয়ে হাওড়াগামী কিংবা হাওড়া থেকে দিঘাগামী বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন থামে। রবিবার দিঘা থেকে আসানসোল-গামী এক্সপ্রেস ট্রেন থামে। নন্দকুমার-সহ আশেপাশের এলাকার অনেক বাসিন্দা তমলুক, পাঁশকুড়া, মেচেদা, হাওড়া, কাঁথি এবং দিঘা-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন যাতায়াত করেন।

Advertisement

নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, রেললাইনের পাশ দিয়ে চলে যাওয়া ওই রাস্তায় থাকা পথবাতিগুলি ক্রমশ অকেজো হলেও তা মেরামতি করার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেয়নি রেল দফতর। অল্প যে ক’টি পথবাতি সচল ছিল, সেগুলিও সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ‘রেমিল’এ অকেজো হয়ে যায়। অন্ধকারের সুযোগে সন্ধ্যা হলেই রাস্তার উপরে প্রকাশ্যে মদ্যপান চলে, গাঁজার আসর বসে যায়। এর ফলে যাত্রীদের স্টেশনে যাতায়াতের সময়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়।

রেল দফতরের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের (দিঘা সেকশন) এক আধিকারিক বলেন, ’’নন্দকুমার স্টেশন সংলগ্ন রাস্তার পথবাতিগুলি খারাপ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নজরে এসেছে। নতুন পথবাতি দেওয়ার বিষয়ে দফতর থেকে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement